আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
‘ভোরে যখন আগুন লাগে তখন আমি ঘুমাচ্ছিলাম, সকাল ৮ টায় স্কুলে এসে দেখি বই-খাতা সব আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।’
আগুনে ছাই হয়ে যাওয়া বইগুলো হাতে নিয়ে এসব কথা বলছিল বিবি খাদিজা (৯)। এ বছর ৫ম শ্রেণিতে রাবেয়া ডিজিটাল কেজি অ্যান্ড হাই স্কুল থেকে পরীক্ষা দিয়ে বের হবার কথা তার। কিন্তু আগুন সব শেষ করে দিয়েছে।
চট্টগ্রাম নগরীর আমিন জুটমিলস এলাকার আমিন কলোনির বস্তিতে একটি টিনের ঘরে ৪ ছেলেমেয়ে নিয়ে থাকতেন মোঃ খালেক। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোররাতের আগুনে পুড়ে সবই শেষ হয়েছে তারও।
আজকের সারাদেশকে তিনি বলেন, ‘আগুন এমন সময় লাগে যখন আমরা সবাই ঘুমাচ্ছিলাম। পরে জীবন বাঁচাতে গিয়ে দ্রুত সেখান থেকে সরে পড়ি। জিনিসপত্র কিছুই বের করতে পারি নাই। সব পুড়ে গেছে।’
বুধবার চট্টগ্রাম নগরীর আমিন জুটমিলসের আমিন কলোনির বস্তিতে ভয়াবহ আগুনে ১৩০ টি পরিবার, প্রায় ১০ টি দোকান ও ১ টি স্কুলসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে।
সকালে অগ্নিকান্ডে পুড়ে যাওয়া বস্তি পরিদর্শনে আসেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হুছাইন মোহাম্মদ। এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও ব্যবসায়ীদের জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বায়েজিদ বোস্তামি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ভোর ৬টায় আগুন লাগার খবর পেয়ে বায়েজিদ ও নন্দনকানন স্টেশন থেকে ফায়ার সার্ভিসের ৮ টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে এক ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে নেয়। তবে অগ্নিকান্ডে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিক জানানো সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।
আজকের সারাদেশ/একে