আজকের সারাদেশ ডেস্ক:
গেল বিশ্বকাপে ইংলিশদের কাছে নাটকীয়ভাবে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল কিউইদের। হার মেনে নিলেও নিউজিল্যান্ডের ভক্ত-সমর্থকদের হৃদয়ে সেই হারের ক্ষত কিছুটা রয়েই গিয়েছিল। তবে এবার যেন সেই হারের প্রতিশোধই নিল কিউইরা। ২০২৩ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই ইংল্যান্ডকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে যেন ভক্তদের সেই ক্ষতে প্রলেপ দিল কিউইরা।
ইংল্যান্ডের দেয়া ২৮৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে উইল ইয়ংকে হারালেও পরে ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রাবিন্দ্রার বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ৮২ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় কিউইরা।
এদিন ১২১ বলে খেলে ৩টি ছক্কা ও ১৯টি চারের সাহায্যে ১৫২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন কনওয়ে। ক্রিজের অপর প্রান্তে থাকা রাচিন ৯৬ বলে ১২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৫টি ছক্কা ও ১১টি চারে।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের তুলোধুনা করে জয়ের বন্দরে নিউজিল্যান্ড
রাচিন-ডেভন জুটির অপরাজিত ২৭১ রানে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় নিউজিল্যান্ড। ছবি: সংগৃহীত
এর আগে টস জিতে ইংল্যান্ডকে আগে ব্যাট করতে পাঠান কিউই অধিনায়ক টম লাথাম। আগে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিলেও তা ধরে রাখতে পারেননি ইংলিশ ব্যাটাররা। জো রুটের ৭৭ ও অধিনায়ক জশ বাটলারের ৪৩ রানের ইনিংস ছাড়া বলার মতো তেমন রান সংগ্রহ করতে পারেননি কেউ। ফলে ৯ উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ২৮৩ রানে তুলে মাঠ ছাড়েন ইংলিশ ব্যাটাররা।
প্রথম ইনিংসে ম্যাট হেনরি তিনটি এবং মিচেল সান্টনার ও গ্লেন ফিলিপস দুটি করে উইকেট নেন।
বিশ্বকাপের শুরুর ম্যাচে দেখেশুনে খেলা শুরু করেন দুই ইংলিশ ওপেনার জনি বেয়ারস্টো ও ডাউইড মালান। অষ্টম ওভারের প্রথম বলে মালানকে ডেরিল মিচেল তালুবন্দি করলে ৪০ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন ম্যাট হেনরি। তিনি ২৪ বলে ১৪ রান করে ফিরলে বেয়ারস্টোকে বেশিদূর এগোতে দেননি স্যান্টনার। ১২.৫তম ওভারে দলীয় ৬৪ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন তিনি।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের তুলোধুনা করে জয়ের বন্দরে নিউজিল্যান্ড
কিউই বোলারদের দাপটে যাওয়া-আসার মধ্যে ছিলেন ইংলিশ ব্যাটাররা। ছবি: সংগৃহীত
এরপর ২৫ রান করে হ্যারি ব্রুক ও ১১ রান করে মঈন আলী আউট হলে খানিকটা ব্যাকফুটে চলে যায় ইংল্যান্ড। এ সময় একপ্রান্ত আগলে রেখে ইংল্যান্ডের রানের চাকা সচল রাখার কাজটি নিপুণভাবে করে চলেছিলেন জো রুট। নিয়মিত বিরতিতে ইংলিশ ব্যাটারদের যাওয়া-আসার মাঝেও এক প্রান্ত আগলে রাখেন রুট। তিনিই প্রথম ইনিংসের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। তার ৮৬ বলে ৭৭ রানের ইনিংসটি ছিল ১টি ছক্কা ও ৪টি চারে সাজানো।
রুট গ্লেন ফিলিপসের বলে বোল্ড হয়ে ফেরার পর জস বাটলারের ৪২ বলে ৪৩ রান ছাড়া আর কেউ বলার মতো রান করতে পারেননি।
লিয়াম লিভিংস্টোনের ২০, স্যাম কারানের ১৪ ও ক্রিস ওকসের ১১ এবং দুই অপরাজিত ব্যাটার আদিল রশিদের ১৫ ও মার্ক উডের ১৩ রান শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ের মতো পুঁজি পায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
পরে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৭১ রানের পাহাড়সম অপরাজিত জুটি গড়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন কনওয়ে ও রাবিন্দ্রা।
আজকের সারাদেশ/০৫অক্টোবর/এএইচ