আজকের সারাদেশ ডেস্ক:
এশিয়ার মাটিতে বিশ্বকাপ, তাই এশিয়ার দলগুলো ভালো করবে- এমনটা আগে থেকে অনুমান করেছিল অনেকেই। তার ফলও দেখা গেছে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের পারফর্ম্যান্সে। কিন্তু এ বিষয়ে শ্রীলঙ্কার পারফর্ম্যান্স একেবারেই উল্টো। শক্তিশালী স্পিন লাইন-আপ নিয়েও দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারদের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে তারা।
লঙ্কান বোলারদের পিটিয়ে একশা করে পাঁচ উইকেটে ৪২৮ রানের পাহাড়সম পুঁজি পেয়েছে প্রোটিয়ারা। এদিন শতকের দেখা পেয়েছেন ওপেনার কুইন্টন ডি কক, রাসি ভান ডার ডুসেন ও আইডেন মার্করাম।
টেম্বা বাভুমার ব্যাট থেকেই শুধু রান আসেনি। এ ছাড়া যিনি উইকেটে এসেছেন, তিনিই রানের ফুলঝুরি ফুটিয়েছেন ব্যাটে। ফলে জিততে হলে ৪২৯ রানের বিশাল লক্ষ টপকাতে হবে দাসুন শানাকার দলকে।
এদিন টস জিতে প্রোটিয়াদের আগে ব্যাটিংয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। ইনিংনের দ্বিতীয় ওভারেই টেম্বা বাভুমাকে লেগ বিফোরে আউট করে ভালো শুরুর ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন লঙ্কান বোলাররা। কিন্তু ডি কক ও ভ্যান ডার ডুসেন দেখেশুনে খেলতে খেলতে এক পর্যায়ে মারমুখী হয়ে ওঠেন। আর তার পর থেকে থামানো যায়নি দক্ষিণ আফ্রিকার রানের গতি। ২০৪ রানের জুটি গড়ে বিদায় নেন ডি কক। তার আগের বলেই সেঞ্চুরি পান তিনি। ১২ চার ও ৩টি ছক্কার মারে মাত্র ৮৪ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন প্রোটিয়া উইকেটরক্ষক।
এরপর শতকের দেখা পান ভ্যান ডার ডুসেনও। ১১০ বল খেলে ১৩টি চার ও দুটি ছক্কায় ১০৮ রান করে বিদায় নেন তিনি। তবে চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে নামা আইডেন মার্করাম ক্রিজে এসেই রানের ফোয়ারা ছোটান। মাত্র ৪৯ বলে ছক্কা মেরে স্টাইলের সঙ্গে নিজের শতক পূর্ণ করেন তিনি। ৫৪ বলে ১০৬ রান করে ফেরার আগে ১৩টি চার ও তিনটি ছক্কা হাঁকান মার্করাম।
পরে ব্যাট করতে আসা হাইনরিখ ক্লাসেন ২০ বলে ৩২, ডেভিড মিলার ২১ বলে তিন চার ও ২ ছক্কায় ৩৯ এবং মার্কো ইয়ানসেন ৭ বলে ১২ রান করলে ৪২৮ রানের বিশাল পুঁজি পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
শ্রীলঙ্কার হয়ে দুই উইকেট নেন দিলশান মধুশঙ্ক। আর কাসুন রাজিথা, মাথিশা পাথিরানা ও দুনিথ ওয়েল্লালাগে একটি করে উইকেট নেন।
আজকের সারাদেশ/০৭অক্টোবর/এএইচ