আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
নানা আন্দোলন ও দাবির পর এবার শিক্ষাকে বাঁচাতে সরকারের পরিবর্তন চেয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘সবচেয়ে খারাপ অবস্থা শিক্ষা ব্যবস্থার। শিক্ষাকে বাঁচাতে সরকার পরিবর্তন করতে হবে। টাকা ও দলীয় বিবেচনা ছাড়া শিক্ষক নিয়োগ হয় না। তারা (সরকার) এ খাতকে পঙ্গু করে দেশকে নতজানু করে রাখতে চায়। বর্তমানে পাঠ্যক্রমে শিক্ষা নেই।’
শনিবার (০৭ অক্টোবর) দুপুরে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শিক্ষক-কর্মচারী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শিক্ষামন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, তার লোকজন নানা অপকর্মে জড়িত। তার অনুসারীরা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লুট করছে। শিক্ষিকা এবং ছাত্রীদের সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করছে। এমনকি এই মন্ত্রীর লোকজন বালু খেয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করছে।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কেউ নাকি বলেননি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা। এটা বলতে হবে কেন? সবার ভূমিকা দেখে বোঝেন না। কি বলছে সবাই। আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমেরিকার ভিসানীতিতে সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে। সবচেয়ে বেশি আতঙ্ক শেখ হাসিনার চোখেমুখে। তারা উন্মাদ হয়ে গেছেন। তারা এখন লুটের টাকা কিভাবে রক্ষা করবে তা নিয়ে চিন্তায় আছে।
তিনি বলেন, অনেক অন্যায় করেছেন। অনেক হত্যা, নির্যাতন চালিয়েছেন। দেশের অর্থনীতি ফোকলা বানিয়ে ফেলেছেন। কেড়ে নিয়েছেন মানুষের সব অধিকার। তাই দেশ রক্ষায় এ সরকারকে সরাতে হবে। সরকারকে সরাতে যা যা করার সবই করতে হবে। বিদায় হতেই হবে। জবাবদিহি করতেই হবে।
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসা করতে দিচ্ছে না। গণমাধ্যমকে তাদের কথা অনুযায়ী চলতে হয়। অদৃশ্য শক্তি সরকারকে টিকিয়ে রাখতে পারে না।
খালেদা জিয়ার মৃত্যুর বয়স নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন করে তিনি বলেন, একজন প্রধানমন্ত্রীর ভাষা এত নিকৃষ্ট হতে পারে? একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে অযাচিত মন্তব্য করতে আপনার মুখে বাঁধে না? আসলে এই দলটির মধ্যে কোনো শিষ্টাচার নেই। তারা কাউকে সম্মান দিতে জানে না।
বিএনপির এই বর্ষীয়ান নেতা বলেন, আজকে সারাদেশে আওয়াজ ওঠেছে, এ সরকারকে বিদায় কর। তাদের রাজনৈতিক সময় শেষ হয়ে গেছে। এখনও সময় আছে মানে মানে কেটে পড়। মানুষ ও দেশকে রেহাই দাও।
শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সেলিম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মুগিস উদ্দিন মাহমুদের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস-চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাক্তার এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদসহ শিক্ষক নেতারা।
আজকের সারাদেশ/০৭অক্টোবর/এএইচ