দুপুর ১:৩২, শনিবার, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামের ভাষা না শুনলেই ‘ভাড়া বিড়ম্বনা’ কক্সবাজারে

সাইফুল আফ্রিদি:

অন্য দেশে কেমন সেই প্রশ্ন পরে তবে বাংলাদেশের কক্সবাজারে ভাষা নিয়ে ভাড়া বিড়ম্বনায় পড়তে দেখা যায় পর্যটকদের। পর্যটন স্পট হওয়ায় দীর্ঘদিন এই বিড়ম্বনা চলে আসলেও প্রকট রূপ নিয়েছে ট্রেন চালুর পর থেকেই।

কক্সাবাজার রেলস্টেশনে প্রতিদিন দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসছে পর্যটক। রেলস্টেশন থেকে কলাতলী ৪ কি.মি এর পথ। টমটম, অটো কিংবা সিএনজি করে কলাতলী, সুগন্ধায় আসতে হয়। ট্রেন আসার আগে থেকেই স্টেশনের প্রবেশমুখে গাড়িগুলোর সারিও ধীরে ধীরে লম্বা হতে থাকে।

হুড়মুড় লেগে যায় চালকদের হইহুল্লোড়ে। ভাই কই যাবেন! এখানে আসেন! যাবেন! এসব শোনে কান ঝালাপালা হয়, ইতস্ততবোধও করে পর্যটকরা। মাঝে মাঝে যাত্রী নিয়ে বাক বিতণ্ডা গড়িয়ে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। তবে কেউই নির্দিষ্ট ভাড়ায় পর্যটক নিতে আসে না বলে জানিয়েছেন একাধিক যাত্রী। রেল আসার অনেক পূর্ব থেকেই এই হাল কক্সবাজারে। তবে জ্যামিতিক হারে বেড়েছে রেল চালুর কয়েকদিনে। পকেট কাটতে চালকদের টার্গেট চট্টগ্রাম বিভাগের বাইরের লোকজন। পর্যটকরা লোকাল না চট্টগ্রামের সেটি পোশাক দেখে চেনা দায় হলেও ভাষা শোনে বোঝে নেয় কত টাকা পকেট কাটা যাবে। নোয়াখালী, বরিশাল হলে তো কথায় নেই ‘হা’ করলেই বোঝে যায় ভইঙ্গা।

নোয়াখালী থেকে আসা হামিদুল হক নামে একজন জানান, নোয়াখাইল্লা দেখলেই আমগো একহাত দিয়া দেয়। শুধু আপনাগো এলাকার লোক থেকেই কম নেয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কক্সবাজার, চট্টগ্রামের পর্যটকের চেয়ে ঢাকা বা ঢাকার বাইরের যাত্রীদের গাড়িতে তুলতে আগ্রহী চালকরা। কারণ খোঁজতে গিয়ে জানা যায়, ঢাকা,বরিশাল, নোয়াখালী কিংবা অন্য বিভাগের লোকজন হলে পকেট কাটা যায় বেশি।

ভাষাগত কারণে চালকদের হাতে হয়রানি হওয়া এমন এক পর্যটক মামুন। ঢাকা থেকে এসেছে কক্সবাজার ভ্রমণে। মামুন দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আঞ্চলিক ভাষা শোনলেই অটো চালকরা ভাড়া বলে কম, শুদ্ধ ভাষা বললেই ২০ টাকার ভাড়া এক লাফে ৫০ টাকা হয়। সুগন্ধা মোড় থেকে রেলস্টেশনে আসতেই আমার কাছে চাওয়া হয়েছে ৩০০ টাকা। পরে তর্কাতর্কির পরে কিছুটা কম নিয়েছে। এটা খুবই মারাত্মক ব্যাপার। অথচ লোকালদের থেকে সেই ভাড়া নেওয়া হচ্ছে অনেক কম। গতকাল শনিবার কক্সবাজার স্টেশন থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে এসব কথা বলেন তিনি।

মামুন নয় শুধু এই অভিযোগ অসংখ্য পর্যটকের। রবিবার আগত কয়েকজন পর্যটকরাও করেছেন একই অভিযোগ। তারাও বলেছেন, চট্টগ্রামের বাইর থেকে আসছি বোঝলেই ভাড়া বেশি চায় চালকরা। তাদেরই একজন শাহনেওয়াজ। তিনি বলেছেন, তারা ছয়জন একসাথে টমটমে উঠলেও ওই টমটম চালক নির্ধারিত ভাড়া না নিয়ে রিজার্ভ ভাড়া চেয়েছে ২৫০ টাকা। দিতেও হয়েছে।

প্রতিনিয়ত পর্যটকরা হয়রানির স্বীকার হলেও হয়রানি প্রতিরোধে সঠিক পদক্ষেপ নেই প্রশাসনের।

আজকের সারাদেশ/একে

সর্বশেষ সংবাদ

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ চবি, রাতের মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ

কত টাকা পেল কোপা ও ইউরো চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা-স্পেন?

ঢাবিতে শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে আহত ১৮২, মেডিকেলেও হামলা

চবিতে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর দফায় দফায় চলছে ছাত্রলীগের হামলা

‘যৌতুক’ হিসেবে হবু জামাইকে বিসিএসের প্রশ্ন দিয়েছিলেন পিএসসি সদস্য

শখের বসে ৩০ বছর ধরে কাচের বাল্ব চিবিয়ে খান রাজশাহীর মুক্তার

নাটোরে ট্রেন থেকে ছিটকে পড়া কয়েক কেজি গাঁজা নিয়ে মানুষের কাড়াকাড়ি

নির্বাচনী সমাবেশে প্রকাশ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে গুলি

স্বঘোষিত মেধাবীরা কি বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগের পার্থক্য বুঝে না: ছাত্রলীগ সভাপতি

আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করলে পরিণাম ভালো হবে না: ছাত্রলীগ সেক্রেটারি