কুবি প্রতিনিধি:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) এক নারী শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনায় এক যুবককে আটক করে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসে শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আনসার ক্যাম্পের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত যুবক ফরহাদ খন্দকার (২৭)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সালমানপুরের বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আনুমানিক ৭ টা ৩০ মিনিটের দিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মেসে যাওয়ার সময় আনসার ক্যাম্পের সামনে নেশাগ্রস্ত এক যুবক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের উদ্দেশ্য করে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি দেখায় ও গালাগালি করতে থাকে। তখন শিক্ষার্থী ঐ যুবকের কাছে গালাগালির কারণ জানতে চায়। ঐসময় যুবক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করলে ভুক্তভোগী ঘটনাস্থল থেকে চলে আসে। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সেখান থেকে যুবককে ক্যাম্পাসে তুলে নিয়ে আসে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, আমি যখন ক্যাম্পাস থেকে মেসে ফিরছিলাম তখন রাস্তার মধ্যে এক যুবক আমাকে দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের ও আমাকে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করতে থাকে। তখন ভয় পেয়ে আমি স্থানীয় এক মুরব্বিকে আমার মেস পর্যন্ত এগিয়ে দিতে বলি। তখন নেশাগ্রস্ত যুবকটি আমাকে বলে এই আপু আমার সাথে কথা বলেন। এরপর একটি লাঠি হাতে আমার দিকে তেড়ে আসতে থাকলে আমি ভয়ে পেয়ে সেখান থেকে চলে আসি। এরপর আমার বিভাগের জুনিয়রদের কল দিয়ে সাহায্য চাই।
মামলার বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, আমার বিভাগের পরামর্শক্রমে পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে যাবো।
এ বিষয়ে প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ভুক্তভোগীর প্রাথমিক অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা অপরাধীকে পুলিশে হেফাজত করেছি। ইভটিজিং মামলার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মামলা করার নিয়ম নেই। তাই আপাতত পুলিশের হেফাজতেই থাকবে এবং ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী যদি মামলা করে তখন পুলিশ সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে। আর ভুক্তভোগী যদি মামলা না করে তাহলে আমরা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে বসে পরবর্তী ব্যবস্থা নিবো।
কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা অপরাধীকে আপাতত নিজেদের হেফাজতে নিয়েছি। ভুক্তভোগী যদি মামলা করে আমরা সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নিবো।
আজকের সারাদেশ/১২ডিসেম্বর/এএইচ