আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
এবার চীন, তুরস্ক, আরব আমিরাতসহ কয়েকটি দেশের শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বাইডেন প্রশাসন।
এতে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে যারা ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণে বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছে, তাদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ইউক্রেনে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে রাশিয়া অস্ত্র সংগ্রহের যে নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে, তাতে বাধা দিতেই এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে।
পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নতুন এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে রাশিয়ার বিভিন্ন শিল্পে পণ্য ও সেবা সরবরাহের মাধ্যমে ইউক্রেন যুদ্ধে দেশটির শক্তিমত্তা বাড়ানো ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো। তাদের মধ্যে দেড় শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়।
এ ছাড়া শতাধিক ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
যুক্তরাষ্ট্রের এ নিষেধাজ্ঞা এমন সময় ঘোষণা করা হলো, যখন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মার্কিন কংগ্রেস সফর করেছেন। একই সঙ্গে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে ইউক্রেনে আরও সামরিক সহায়তা পাঠানোর লক্ষ্যে জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে হোয়াইট হাউস।
বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) বলছে, তুরস্ক ও আরব আমিরাতের একাধিক প্রতিষ্ঠানও নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। এ ছাড়া সুইজারল্যান্ডভিত্তিক ইলেকট্রনিক পণ্য রপ্তানিকারী প্রতিষ্ঠান ‘থামেস্টোন’ ও সিঙ্গাপুরভিত্তিক ‘মাইক্রো ইলেকট্রনিকস টেকনোলজিসের’ ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
আজকের সারাদেশ/একে