আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে গন্ডগোলের পর থেকে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ও নগরের শীর্ষ নেতারা আত্মগোপনে চলে যান। লাগাতার হরতাল-অবরোধেও দলীয় কার্যালয়ে দৃশ্যমান কোন কর্মসূচি পালন করতে পারেনি বিএনপি। মামলা হামলার ভয়ে কার্যত একা হয়ে পড়ে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবন। তবে এবার ৫০দিন পর ১৪ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের দিনে আলোচনার সভার মাধ্যমে প্রকাশ্যে এলো চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকালে নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচিতে দক্ষিন, উত্তর জেলা ও নগর বিএনপির শীর্ষ নেতাদের দেখা গেছে। ফলে দীর্ঘদিন পর দলীয় কার্যালয়ে প্রকাশ্যে কর্মসূচি পালন করে নেতাকর্মীদের মাঝে দেখা গেছে চাঙ্গা ভাব।
তবে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের এ কর্মসূচিতে বিএনপির পেশাজীবী নেতাদের আধিক্য ছিল বেশি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের আহবায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, সদস্য সচিব ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, চবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. নসরুল কদির, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহনওয়াজ, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এনামুল হক, চট্টগ্রাম জেলা ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিক, এ্যাবের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সেলিম মো. জানে আলমসহ অন্যান্যরা।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীরা দেশমাতৃকার শ্রেষ্ঠ সন্তান। বাংলাদেশের মহান মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকদের প্রেরণা জুগিয়েছিলেন তারা। নিজেদের মেধা ও প্রজ্ঞা দিয়ে জনগণকে উদ্দীপ্ত করেছিলেন সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে। বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন পূরণে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। গণতান্ত্রিক অধিকার মানুষের সর্বজনীন অধিকার, সেটি সমুন্নত রাখতে আমাদের মিলিত শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে।
তারা আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতীয় জীবনে একটি বেদনাময় দিন। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের দুই দিন আগে হানাদার বাহিনীর দোসররা দেশের বুদ্ধিজীবীদের নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল। তারা মনে করেছিল জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করলেই এই দেশ দুর্বল হয়ে পড়বে। কিন্তু তাদের সে উদ্দেশ্য সফল হয়নি।
আজকের সারাদেশ/একে