আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
দেশের বাজারে হঠাৎ হু হু করে বেড়ে যায় সব ধরনের পেঁয়াজের দাম। হঠাৎ দাম বেড়ে যাওয়ায় বেশ চাপে পড়ে সাধারণ ভোক্তারা। এমনই পরিস্থিতিতে পেঁয়াজের বিকল্প হিসেবে বাজারে আসছে ‘চাইভ’। ইতিমধ্যেই পেঁয়াজের বিকল্প হিসেবে বাজারে অবস্থান তৈরি করে নিচ্ছে মসলা জাতীয় এ ফসল।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের মসলা গবেষণা কেন্দ্রের তথ্য বলছে, ২০১৪ সালে চীন থেকে চাইভ এর প্রথম জার্মপ্লাজম নিয়ে আসা হয়। পরে তিন বছর বাংলাদেশে ট্রায়াল দিয়ে সফলতা পাওয়ায় এখন তা কৃষকদের মাঝে চাষ শুরু হয়েছে ব্যাপকভাবে। তবে উল্লেখযোগ্য না হলেও আস্তে আস্তে জনপ্রিয়তাও পাচ্ছে এই চাইভ। পেঁয়াজ ও রসুনের স্বাদ বা গুণাগুণ থাকায় আপদকালীন সময়ে জনসাধারণের কাছে পেঁয়াজ বা রসুনের বিকল্প হয়ে উঠতে পারে এই ‘চাইভ’ এমনটা বলছে কৃষি কর্মকর্তারা।
‘চাইভ’ এর অনন্য বৈশিষ্ট্য হল একবার রোপন করলে সারাবছরই ফলন দেয় ফসলটি। পেঁয়াজের সহযোগী হিসেবে ইউরোপ, আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ‘চাইভের ব্যবহার। বাংলাদেশের বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে স্যুপ আর সালাদের সঙ্গে ‘চাইভ’ ব্যবহার করলেও রান্নাবান্নায় এখনো তেমন ব্যবহার হচ্ছেনা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ মসলাটি।
এদিকে পেঁয়াজ-রসুনের লাগামহীন দামে হজমে সহযোগী, ক্যান্সার প্রতিরোধী নানা গুন, ভিটামিন, নায়াসিন, ক্যারোটিন সমৃদ্ধ মশলাটি দ্রুত গৃহিণী পর্যায়ে সম্ভাবনা তৈরির কথা জানান কৃষিবিদরা।
কৃষিবিজ্ঞানীরা বলছেন কম খরচে এবং খুব সহজে চাষাবাদ করা যায় ‘চাইভ’। এটি চাষাবাদে বাংলাদেশের মাটি, জলবায়ু, আবহাওয়া বেশ অনুকূল। পাশাপাশি বছরব্যাপী চাষ করা যায় বলে পেঁয়াজ-রসুন থেকে ভোক্তাদের অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারে ‘চাইভ’।
তবে যেসব এলাকায় পেঁয়াজ বেশি উৎপাদন হয় সেখানে এই চাইভ উৎপাদনের সম্ভাবনা বেশি বলে জানান কৃষি কর্মকর্তারা। পেঁয়াজ রসুনের বিকল্প হিসেবে আদর্শ মশলাজাতীয় ‘ফসল চাইভ’ দেশে ব্যাপকভাবে চাষ করা গেলে পেঁয়াজ-রসুনের ঘাটতি মেটানো সম্ভব বলে মত কর্মকর্তাদের।
আজকের সারাদেশ/একে