আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাঙ্গামাটি আসনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) সমর্থিত সতন্ত্র প্রার্থী ঊষাতন তালুকদার।
শুক্রবার দুপুরে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আবেদন জমা দেন তিনি। এর আগে ২০১৪ সালে আয়তনে দেশের বৃহত্তম এই জেলার একমাত্র সংসদীয় আসন থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিজয়ী হয়েছিলেন তিনি।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আবেদনে ব্যক্তিগত কারণের কথা উল্লেখ করেছেন ঊষাতন তালুকদার। কিন্তু জেএসএসের দাবি বিএনপির মত বড়দলগুলো নির্বাচনে না আসা ও সরকারের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে দেশে নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। ঊষাতন তালুকদার নিজেও সে বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন গণমাধ্যমে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আবেদন জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘দেশের সার্বিক পরিস্থিতি এবং এখানকার বাস্তব অবস্থার কারণে আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকলাম। পার্টির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ আমি আমার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিলাম।’
ঊষাতন তালুকদারের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান। তিনি বলেন, ‘ওনি দুপুর সাড়ে ১২ টায় ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আবেদন জমা দিয়েছেন। তার আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এই আসন থেকে চারজন প্রার্থী নির্বাচনে রয়েছেন।’
জাতীয় সংসদের ২৯৯ নম্বর আসনটিতে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী দীপংকর তালুকদারের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল জেএসএস সমর্থিত সতন্ত্র প্রার্থী ঊষাতন তালুকদাকে। তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় এই আসনে নিরাত্তাপ ভোট হওয়ার আশঙ্কা করছেন ভোটাররা৷ স্থানীয়দের দাবি দীপংকর তালুকদার ছাড়াও এই আসনে এখনও আরো তিন প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে থাকলেও খুব একটা জনসমর্থন নেই তাদের।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসীল অনুযায়ী প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষদিন ১৭ ডিসেম্বর। পরদিন প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার কথা প্রার্থীদের। ১৮ ডিসেম্বর নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে প্রচারণায় নামবেন প্রার্থীরা।
আজকের সারাদেশ/১৫ডিসেম্বর/এএইচ