আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দীন নদভীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ দিয়েছেন একই আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মোতালেব। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে তিনি এই অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগে আবদুল মোতালেব উল্লেখ করেন, আবু রেজা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন নদভীর প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ও নির্দেশে তারই কিছু আইন অমান্যকারী, উগ্র সমর্থকগোষ্ঠী কর্তৃক নির্বাচনী আচরণবিধি বহির্ভূত কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৩ ডিসেম্বর লোহাগাড়া উপজেলার বার আউলিয়া কলেজের পূর্বপাশে একটি রেস্টুরেন্টের ভেতরে আয়োজিত একটি সভায় উপস্থিত বক্তাগণ নির্বাচনকে প্রভাবিত করার মত বক্তব্য রাখেন। অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে। সভায় আমিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম ইউনুস, প্যানেল চেয়ারম্যান আক্কাস, ইউনিয়ন কৃষক লীগের সম্পাদক আব্দুল নবী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন। তাহারা প্রতিপক্ষ প্রার্থী তথা আমাকে ও আমার সমর্থকদের উদ্দেশ্য করে বেঈমান, মোনাফেক, খন্দকার মোশতাক বলে উল্লেখ করে উসকানিমূলক, মানহানিকর ও চরিত্রহননকারী বক্তব্য রাখেন। এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনকে লিখিত অবহিত করার পরও প্রশাসন কর্তৃক অনতিবিলম্বে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরও তাহারা বিধিবহির্ভূত কর্মকাণ্ড বন্ধ করে নাই। গত ১৬ ডিসেম্বর স্থানীয় শহীদ মিনারে বিজয় দিবসের আয়োজনে পুষ্পদানকে কেন্দ্র করে আয়োজিত সমাবেশে দেখা যায়, আবু রেজা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীনের স্ত্রী রিজিয়া রেজা চৌধুরী তাহার নেতৃত্বে সমর্থক নিয়ে প্রতীকের নাম উচ্চারণপূর্বক প্রার্থীর নামে স্লোগান দিতে থাকেন। একই দিনে একই স্থানে অপর একটি সমাবেশে লোহাগাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এ কে এম আসিফুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বেও স্লোগানে অনুসারী নিয়ে প্রতীকের নাম উচ্চারণপূর্বক প্রকাশ্যে স্লোগান দিয়েছেন। একইদিনে প্রার্থী স্বয়ং আবু রেজা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীনের নেতৃত্বে কর্মী সমর্থক নিয়ে প্রতীকের নাম উল্লেখপূর্বক একইদিনে অপর একটি মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। যাহা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ এর অধীন সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর ১১(ক) ও ১২ নং বিধির স্পষ্ট লঙ্ঘন।
অভিযোগের বিষয়ে প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী বাংলানিউজকে বলেন, অভিযোগে যে রেস্টুরেন্টের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেটাতে আমি জীবনে যায়নি। আমার বিরুদ্ধে মনগড়া অভিযোগ করা হয়েছে।
আজকের সারাদেশ/১৭ডিসেম্বর/বিই/এএইচ