সকাল ৯:৩৪, শনিবার, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমি কি বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকা চুরি করেছি, প্রশ্ন চবি উপাচার্যের

চবি প্রতিনি:

‘আপনি চিঠি দিয়েছেন, আমি চিঠি নিলাম। কিন্তু চিঠিতে আপনি কথাগুলো না লিখলে আমি রাগ করতাম না। আপনি কেন এখনও ফারসি ভাষা (ফারসি বিভাগের নিয়োগ কেলেঙ্কারি নিয়ে পড়ে আছেন? আমি কি রাস্তার মানুষ? আমি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকা চুরি করে খাইছি? বিশ্ববিদ্যালয় বিক্রি করে দিয়েছি আমি? আমি কি টাকা খাইছি এখান থেকে? কী বলতে চাচ্ছেন আপনি? আমি ধমক দিচ্ছি না, আমি দুঃখের সঙ্গে বলছি।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) দুই বিভাগের শিক্ষক নিয়োগবোর্ড বাতিলের দাবিতে শিক্ষক সমিতি অবস্থান নেওয়ায় চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার শিক্ষক সমিতির সভাপতিকে উদ্দেশ্য করে এসব কথা বলেন।

রোববার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান তিনি।

এর আগে দিনভর এ নিয়োগকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা দেখা যায় শিক্ষকদের মধ্যে। এদিন দুপুর সাড়ে ১২টায় শিক্ষক সমিতির নেতারা নিয়োগ বাতিলের দাবিতে চিঠি দিতে যান উপাচার্যের কার্যালয়ে। এসময় দুপক্ষ চরম বাকবিতণ্ডায় জড়ান। দাবিতে অনড় থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত উপাচার্য দফতরে অবস্থান নেন অর্ধশতাধিক শিক্ষক।

পরে উপাচার্যের কার্যালয় থেকে উপাচার্যের বাংলোতে নিয়োগ বোর্ডের স্থানান্তর করলে সন্ধ্যায় শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষক সমিতির নেতারা। এসময় উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করে কর্মসূচি ঘোষণা করে শিক্ষক সমিতি। কর্মসূচির অংশ হিসেবে পদত্যাগের একদফা দাবিতে সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে প্রশাসনিক ভবনের সামনে দুই ঘণ্টা অবস্থান নিবেন শিক্ষকরা।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী বলেন, কাওকে কিছু না জানিয়ে বাংলোতে গিয়ে ভাইভা নেওয়াটা নজিরবিহীন ঘটনা। এর আগেও আমরা বিভিন্ন যৌক্তিক দাবিদাওয়া জানিয়ে আসছি। তবে প্রশাসন সেদিকে কর্ণপাত করেনি। অন্যায়কে বাস্তবায়ন করার জন্য আজ যে গর্হিত কাজ উপাচার্য করেছে তা আইনের পরিপন্থি। এ ঘটনায় উপ-উপাচার্যেরও দায় আছে বলে আমরা মনে করি।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক বলেন, আমরা উপাচার্যকে বোঝানোর জন্য গেলে তিনি কথা পর্যন্ত বলেননি। একপর্যায়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতির সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।

নিয়োগ-বোর্ডের সদস্য আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল ফারুক বলেন, এ নিয়োগ প্রক্রিয়া সিন্ডিকেট কর্তৃক অনুমোদিত। এ প্রক্রিয়ায় আগেও নিয়োগ হয়েছে। তারা উপাচার্যকে ক্ষমতা থেকে সরানো ও বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার পায়তারা করছে।

এদিন শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে উপাচার্যকে আইন ও বাংলা বিভাগের নিয়োগবোর্ড বাতিলের দাবিতে চিঠি দিতে গিয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী চিঠি পাঠ করার একপর্যায়ে উপাচার্য উত্তেজিত হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে উপাচার্যপন্থি ও শিক্ষক সমিতির শিক্ষকরা বাকবিতণ্ডয় জড়ান। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপাচার্য দফতরে হট্টগোল সৃষ্টি হয়।

আজকের সারাদেশ/১৭ডিসেম্বর/এএইচ

সর্বশেষ সংবাদ

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ চবি, রাতের মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ

কত টাকা পেল কোপা ও ইউরো চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা-স্পেন?

ঢাবিতে শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে আহত ১৮২, মেডিকেলেও হামলা

চবিতে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর দফায় দফায় চলছে ছাত্রলীগের হামলা

‘যৌতুক’ হিসেবে হবু জামাইকে বিসিএসের প্রশ্ন দিয়েছিলেন পিএসসি সদস্য

শখের বসে ৩০ বছর ধরে কাচের বাল্ব চিবিয়ে খান রাজশাহীর মুক্তার

নাটোরে ট্রেন থেকে ছিটকে পড়া কয়েক কেজি গাঁজা নিয়ে মানুষের কাড়াকাড়ি

নির্বাচনী সমাবেশে প্রকাশ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে গুলি

স্বঘোষিত মেধাবীরা কি বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগের পার্থক্য বুঝে না: ছাত্রলীগ সভাপতি

আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করলে পরিণাম ভালো হবে না: ছাত্রলীগ সেক্রেটারি