আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
কক্সবাজারে পর্যটকদের লোভনীয় খাদ্য ফিশ ফ্রাই। পর্যটকদের ঘিরে ব্যবসায়ীরাও মাছের পসরা সাজিয়ে ডিসপ্লে করে রাখে। সন্ধ্যাবাতির হরেক রকমের আলো ঝিকমিকিয়ে করে তোলে দোকানের পরিবেশ। সুগন্ধা পয়েন্টে এসব মাছের দোকান সারি সারি। পর্যটকরা এ দোকান ও দোকান ঘুরে ঘুরে পছন্দ করে মাছ। তবে এর মাঝেই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত লাভের আশায় পর্যটকদের পঁচা-বাসি মাছ খাওয়ায়। মুখে তুলে পঁচা বাসি মাছের স্বাদ পেয়ে অভিযোগ তুললেও পরিশোধ করতে হয় নির্ধারিত টাকা। এমন একটি তথ্যের ভিত্তিতে সত্যতা খোঁজতে অভিযানে নামে পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাসুদ রানার ভ্রাম্যমাণ আদালত। মিলে পঁচা বাসি ফিশ ফ্রাইয়ের সত্যতাও।
অভিযান পরিচালনাকালে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা দোকানের মাছগুলো পরীক্ষানিরীক্ষা করে দেখেন স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে মাছ ফ্রাই করা হচ্ছে না। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা হচ্ছে এসব খাবার। এছাড়া পঁচা-বাসি মাছ খাওয়ানো হচ্ছে পর্যটকদের।
শুধু মাছই নয় তেল মসলা সবকিছুতেই পেয়েছে ভেজাল। কয়েক সপ্তাহের তেলে ভাজানো হয় এসব মাছ। যা ক্যান্সার তৈরির জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কয়েক দোকানে এসব অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ফিশ ফ্রাইয়ের দোকানগুলো বন্ধ করে দেন ভ্রাম্যমান আদালত।এছাড়াও ৪ টি ভ্রাম্যমাণ ফিশ ফ্রাইয়ের দোকানকে ২৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। দোকানগুলোকে সিলগালা করে দেওয়া হয়।
কক্সবাজারের নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, ”সবগুলো ফিশ ফ্রাইয়ের দোকানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাছগুলো তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়া সবচেয়ে ক্ষতিকর দিক হচ্ছে পঁচা তেলে ভাজা হচ্ছে মাছগুলো। গন্ধে এখানে দাঁড়ানোর অবস্থাও নেই। খুবই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ।
তিনি বলেন, এ খাবারগুলো খাওয়ার ফলে মানবদেহে গ্যাস্ট্রিকসহ সবচেয়ে মরণঘাতী রোগ ক্যান্সার হতে পারে।
পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাসুদ রানা বলেন, অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশনের দায়ে ৪ টি ভ্রাম্যমাণ দোকানকে ২৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। দোকানগুলো সিলগালা করা হয়েছে। একইসাথে সবগুলো ফিশ ফ্রাই দোকান আপাতত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তারা যখন মান ঠিক করে আমাদের প্রমাণ করতে পারবেন তখন দোকানগুলো আবার চালু করা যাবে।
আজকের সারাদেশ/একে