আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
কক্সবাজারের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল একটি শিশু হাসপাতালের। এ নিয়ে নানা সময় দাবি তোলেন সুশীল মহল। তবে ফান্ডিং, অর্থাভাবে হয়ে উঠেনি সেই হাসপাতাল। হাসপাতালের উদ্যোগ নিয়েছিলো সাবেক জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন। ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেছিলেন তিনি। এরপরে চেষ্টা করেছিলেন সাবেক জেলা প্রশাসক মামুনুর রশিদ। অবশেষে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপিত সেই স্বপ্ন দীর্ঘ ৩ বছর পেরিয়ে ২৩ সালের ডিসেম্বরে জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানের হাত ধরে আলোর মুখ দেখলো। দীর্ঘ ৩ বছর অপেক্ষার পর হাসপাতালটি আনুষ্ঠানিক যাত্রা করে।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকালে সৈকতের কবিতা চত্বর স্মরণি বালিকা মাদ্রাসা সড়কে হাসপাতালের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান।
তিনি বলেন, ‘এটি মূলতঃ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য করা হয়েছে। এখানে হতদরিদ্র মানুষ তাদের শিশুদের বিনামূল্যে চিকিৎসা করাতে পারবেন। পর্যায়ক্রমে এখানে সেবার পরিধি বাড়ানো হবে। যাতে এটি স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি শিশু হাসপাতালে রূপ নেয়।’
এসময় বক্তারা কক্সবাজারের অবহেলিত শিশুরা যেন চিকিৎসা সেবা নিতে পারে,বিনামূল্যে ঔষধ পেতে পারে তার জন্য এমন উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী সিভিল সার্জন ডাঃ মহিউদ্দিন আলমগীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জাহিদ ইকবাল, বিভীষণ কান্তি দাশ, মো. নাসিম আহমেদ, তাপ্তি চাকমা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খীসা ও কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুল ইসলাম।
হাসপাতালটিতে এখনো কোন শয্যা নেই। তবে ২ জন চিকিৎসক ও ১ জন ফার্মাসিস্ট আউটডোর সেবা দিবেন। এছাড়া দেওয়া হবে বিনামূল্যে ঔষধও। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগটি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেছে বেসরকারি সংস্থা মুসলিম হ্যান্ডস ও ব্র্যাক। মুসলিম হ্যান্ডস প্রতি মাসেই দেড়লাখ টাকা সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য যে, ২০২০ সালে ১০ ডিসেম্বর কক্সবাজার শিশু হাসপাতালের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন। তার হাত ধরেই বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য গড়ে উঠা অরুণোদয় স্কুল এখন দেশজুড়ে প্রশংসা কুড়াচ্ছে।
আজকের সারাদেশ/একে