সকাল ১০:১৭, শনিবার, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাতকানিয়ায় নির্বাচনী সহিংসতা-সংঘাত বাড়ছে

আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের আলোচিত আসন চট্টগ্রাম–১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের নির্বাচনী প্রচারণা ঘিরে দুই শক্তিশালী প্রার্থীর সমর্থকেরা নিয়মিত সংঘাতে জড়াচ্ছে। গত মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অন্তত তিনটি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ১৫-২০ জন।

আসনটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হয়েছেন টানা দুই বারের সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী। বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সদ্য পদত্যাগ করা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিল্পপতি আবদুল মোতালেব। দুজনের দ্বন্দ্ব-বিরোধ দীর্ঘদিনের। এর আগে গত তিন বছরেরও বেশ কয়েকবার সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হওয়ার পর গত মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে সাতকানিয়া উপজেলার দক্ষিণ চরতিতে নদভীর সর্মথক সাবেক ইউপি সদস্য ইলিয়াছ শাহীনের ওপর হামলা চালানো হয়। এসময় বেশকিছু দোকানপাট ও ঘরবাড়িতেও হামলা চালানো হয়। হামলায় অভিযুক্তরা স্বতন্ত্র প্রার্থী মোতালেবের সমর্থক। পরদিন বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে সাতকানিয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মোতালেবের সমর্থক পশ্চিম ঢেমশা ইউপি চেয়ারম্যান রিদুয়ানুল ইসলাম সুমনের বাড়িতে গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ৩টি গাড়ি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পও ভাঙচুর করা হয়। এতে অভিযুক্ত করা হয় নদভীর সমর্থকদের। এর একদিন পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নদভীর স্ত্রী রিজিয়া রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় নদভীর শ্যালক চরতি ইউপি চেয়ারম্যান মো. রুহুল্লাহ চৌধুরীসহ অন্তত ৮-১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে সহিংসতা বাড়ছে।

আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী বলেন, “প্রশাসনকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদেরকে গ্রেপ্তারের জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু তারা তা করেনি। ফলে তারা এখন নির্বাচনে সহিংসতায় লিপ্ত হচ্ছে। তাদেরকে গ্রেপ্তার করলে এ ধরনের হামলার ঘটনা ঘটতো না। প্রশাসনকে বলবো ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করুন। না হলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না। ভোটারদেরকে ভয়ভীতি প্রদর্শনের জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী এমএ মোতালেবের নির্দেশে এসব ঘটনা ঘটানো হচ্ছে।”

অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মোতালেবের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ডা. আ.ম.ম. মিনহাজুর রহমান বলেন, “স্ত্রী রিজিয়া রেজা চৌধুরী নির্বাচনী প্রচারণাকালে স্থানীয় লোকজনকে কটাক্ষ করে কথা বলেছেন। বালির মহাল দখলসহ বিভিন্ন কারণে রিজিয়া রেজা ও ইউপ চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ চৌধুরীর ওপর স্থানীয় লোকজন অনেক আগে থেকেই ক্ষুব্ধ। প্রচারণা চলাকালে রিজিয়া রেজা চৌধুরীর সাথে থাকা লোকজন চরতি এলাকার দুই ছেলেকে মারধর করেছেন। সবকিছু মিলিয়ে তারা জনরোষের শিকার হয়েছেন। এটা নির্বাচনী বিষয় নয়। আমরা সকল নেতাকর্মী ও সমর্থকদেরকে যে কোনো ধরনের ঝামেলা থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। এটাও বলে দিয়েছি যে, কেউ কোনো ঘটনা করলে এটার দায় প্রার্থী নিবেন না।”

সাতকানিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার বলেন, “আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। গত ১৯ ও ২০ ডিসেম্বরের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আজকের সারাদেশ/একে

সর্বশেষ সংবাদ

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ চবি, রাতের মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ

কত টাকা পেল কোপা ও ইউরো চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা-স্পেন?

ঢাবিতে শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে আহত ১৮২, মেডিকেলেও হামলা

চবিতে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর দফায় দফায় চলছে ছাত্রলীগের হামলা

‘যৌতুক’ হিসেবে হবু জামাইকে বিসিএসের প্রশ্ন দিয়েছিলেন পিএসসি সদস্য

শখের বসে ৩০ বছর ধরে কাচের বাল্ব চিবিয়ে খান রাজশাহীর মুক্তার

নাটোরে ট্রেন থেকে ছিটকে পড়া কয়েক কেজি গাঁজা নিয়ে মানুষের কাড়াকাড়ি

নির্বাচনী সমাবেশে প্রকাশ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে গুলি

স্বঘোষিত মেধাবীরা কি বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগের পার্থক্য বুঝে না: ছাত্রলীগ সভাপতি

আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করলে পরিণাম ভালো হবে না: ছাত্রলীগ সেক্রেটারি