আজকের সারাদেশ ডেস্ক:
সিলেটে সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকা ও চাপ প্রয়োগের অভিযোগ এনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জাতীয় পার্টির এক প্রার্থী।
বুধবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন সিলেট-৫ আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক সাব্বির আহমদ। তিনি জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলা সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। এছাড়া তিনি জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।
সিলেট জেলা প্রেসক্লাব ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জানালিস্ট এসোসিয়েশন-ইমজায় সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়ে সাব্বির আহমদ বলেন, ‘সরকার আমাদেরকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু মাঠে আমরা সেই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন দেখছি না। সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই। এ অবস্থায় নির্বাচন করা কঠিন।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া বিশেষ একজনের পক্ষে প্রশাসন কাজ করছে। সরকারি বিভিন্ন সংস্থা থেকে আমাদের হুমকি দেয়া হচ্ছে। এমনকি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্যও চাপ দেয়া হচ্ছে।’
সাব্বির বলেন, ‘এই আসনে নৌকার প্রার্থী এবং আওয়ামী লীগের ডামি প্রার্থীও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে চাপ প্রয়োগ ও একজন বিশেষ প্রার্থীর পক্ষে প্রশাসন কাজ করছে বলে অভিযোগ দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থীদেরই যখন এই অবস্থা তখন আমাদের জন্য পরিস্থিতি কত কঠিন তা আপনারা বুঝতে পারছেন।’
জাপার এই নেতা বলেন, ‘রাত ৮টা বাজলেই আমাদেরকে প্রচার বন্ধ করতে বলা হয়। অথচ ওই বিশেষ প্রার্থী রাত ১০টা পর্যন্ত প্রচার চালান। তিনি সবসময় আচরণবিধি লঙ্ঘন করে চলেছেন। আমরা অতীষ্ঠ হয়ে গেছি। তার পক্ষে বহিরাগতরাও এলাকায় জড়ো হয়েছে। ফলে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। সবমিলে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ না থাকায় আমি ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি।’
জকিগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-৫ আসনে এবার নৌকার প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ। এখানে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমদ আল কবির।
এছাড়াও এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ধর্মভিত্তিক সংগঠন আঞ্জমানে আল ইসলাহর সভাপতি মাওলানা হুছামুদ্দিন চৌধুরী। এই আসনে হুছামুদ্দিনকে আওয়ামী লীগ ছাড় দিতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে।
আজকের সারাদেশ/০৩জানুয়ারী/এএইচ