আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
ইকুয়েডরে একটি টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার চলাকালে স্টুডিওতে হামলা চালিয়েছে কয়েকজন বন্দুকধারী। এ সময় ওই অনুষ্ঠানের কর্মীদের মেঝেতে শুয়ে ও বসে পড়তে বাধ্য করে তারা। শোনা যায় গুলির শব্দও। একপর্যায়ে সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। গতকাল মঙ্গলবার দেশটির গুয়াইকিল শহরে টিসি নামের ওই টেলিভিশন স্টেশনে রুদ্ধশ্বাস এ ঘটনা ঘটে।
এক দুর্ধর্ষ অপরাধী কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর ৬০ দিনের জরুরি অবস্থা জারির পরদিন এমন ঘটনা ঘটল। ঘটনার প্রায় আধা ঘণ্টা পর ওই স্টুডিওতে ঢোকে পুলিশ সদস্যরা। পরে হামলাকারী ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় প্রাণ হারাননি কেউ।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির দুর্ধর্ষ মাদক চক্র লস ক্রোনেরসের হোতা হোসে অ্যাডলফো মাসিয়াস গত রোববার কারাগার থেকে পালিয়ে যায়। ৪৪ বছর বয়সী মাসিয়াস ‘ফিতো’ নামেও পরিচিত। মাদক পাচার, খুনসহ সংঘবদ্ধ অপরাধের দায়ে তার ৩৪ বছরের সাজা হয়েছে। পরদিনই মাদক চক্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ঘোষণা দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট দানিয়েল নোবোয়া। ঘোষণা করেন ৬০ দিনের জরুরি অবস্থা এবং রাত্রিকালীন কারফিউ।
গত বছরের নভেম্বরে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন তরুণ ব্যবসায়ী ও রাজনীতিক নোবোয়া। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে নিজের প্রত্যয়ের কথা জানান তিনি। এরপর এটাই নোবোয়ার সবচেয়ে কঠোর পদক্ষেপ।
আজকের সারাদেশ/একে