সকাল ৬:৩৮, শনিবার, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্যারিস্টার সুমন এমপি হওয়ায় চট্টগ্রামে ফুচকা বিক্রেতার মিষ্টি বিতরণ

আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:

গেল কয়েকবছর ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বেশ জনপ্রিয় মুখ ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। চলতি পথে সামাজিক নানা অসঙ্গতি ও দুর্নীতি নিয়ে নিজের ফেসবুক পেজে লাইভ ভিডিও সম্প্রচার করে জনপ্রিয়তা পান তিনি। আওয়ামী ঘরনার রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এই আইনজীবী গেল দুই সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চেয়েও পাননি। এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে হবিগঞ্জ-৪ আসনে বিজয়ী হয়ে ইতিহাস গড়েন। এর আগে এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের বাইরের কেউ বিজয়ী হতে পারেননি। তার এমন জয় উৎযাপন করতে ১ মন মিষ্টি বিতরণ করেছেন চট্টগ্রামের এক ফুচকা বিক্রেতা। মনিরুল ইসলাম মামুন নামের ওই ফুচকা বিক্রেতার গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের চৌমুহনী হলেও বেড়ে ওঠা চট্টগ্রামে। বর্তমানে পরিবার নিয়ে থাকেন নগরীর অক্সিজেন এলাকায়।

বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর অক্সিজেন এলাকায় নিজের রিসিপি ফুড নামের চটপটি-ফুচকা বিক্রির দোকানে পথচারীদের মাঝে এসব মিষ্টি বিতরণ করেন মামুন।

তিনি জানান, ফেসবুকে ব্যারিস্টার সুমনের বিভিন্ন ভিডিও দেখে ভালো লাগে তার। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সুমনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে মুগ্ধ হয়ে ফেসবুকে তাকে অনুসরণ করা শুরু করেন। মাস খানেক আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুমন প্রার্থী হওয়ার পর মামুন ঠিক করেন নিজের উপার্জন থেকে জনসাধারণের মাঝে ১ মন মিষ্টি বিতরণ করবেন। ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ শেষে ব্যারিস্টারি সুমন বিজয়ী হলে বৃহস্পতিবার মিষ্টি বিতরণের দিন হিসেবে নির্ধারণ করেন।

এই দিন বিকেলে নগরীর অক্সিজেন এলাকায় মামুনের দোকানে গিয়ে সাধারণ মানুষের জটলা দেখা যায়। দোকানের সামনের রাস্তা দিয়ে চলাচল করা পথচারী থেকে শুরু করে বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীদের মিষ্টি খাইয়ে দেন মামুন। এসময় সাধারণ মানুষকে মিষ্টি খাইয়ে ব্যারিস্টার সুমনের জন্য দোয়ার অনুরোধ করেন তিনি।

মনিরুল ইসলাম মামুন বলেন, ‘আমি ব্যারিস্টার সুমন সাহেবকে ফেসবুকে দীর্ঘদিন ধরে ফলো করি। তার সবগুলো লাইভ ভিডিও আমি দেখেছি। তিনি যেভাবে বড় বড় দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেন, তার মত আর কেউ বলে না। তিনি জীবনের মায়া ত্যাগ করে বড় বড় দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কথা বলেন। ওনার লাইভের কারণে অনেক দুর্নীতিবাজকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা গেছে। ওনার নির্বাচনী আসন চুনারুঘাট হলেও আমার মত ভক্ত সারাদেশেই আছে।’

মামুন বলেন, ‘এই যে ব্যারিস্টার সুমনের মত মানুষগুলো দুর্নীতির বিরুদ্ধে দাড়াচ্ছে। তাদের তো উৎসাহিত করা দরকার। নয়তো কেউ এরকম এগিয়ে আসবে না। মূলত সুমন ভাইয়ের দুর্নীতিবিরোধী কাজে উৎসাহ দেওয়ার জন্যই আমি এই উদ্যোগটা নিয়েছি। ওনার কাজগুলোর জন্যই ওনাকে ভালোবাসি। আমি দেখা হলে ওনাকে একবার জড়িয়ে ধরতে চাই।’

মামুনের দোকান থেকে মিষ্টি খেয়ে জুহুরুল ইসলাম নামের পঞ্চাশোর্ধ এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমি এন্ড্রয়েড মোবাইল ব্যবহার করি না। তাই ব্যারিস্টার সুমন নামের ওই লোক সম্পর্কে জানতাম না। তিনি নাকি অনেক ভালো কাজ করেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেন। এটা জেনে খুব ভালো লেগেছে।’

৩৫ বছর বয়সী এই ফুচকা বিক্রেতার দৈনিক আয় ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। এতে তার মাসিক আয় দাড়ায় ২১ থেকে ২৪ হাজার টাকা। সেই হিসেবে তার মিষ্টি বিতরণের আয়োজন করতে ব্যয় হয়েছে প্রায় এক মাসের আয়।

মিষ্টি বিতরণের সময় মামুনের দোকানে ছিলেন তার স্ত্রী আকলিমা আক্তার আঁখি। তিনি বলেন, ‘ওনি (মামুন) ব্যারিস্টার সুমন সাহেবকে খুব পছন্দ করেন। তার মুখে ওনার (সুমন) কথা শুনে আমাদেরও ভালো লাগে। ওনি খুশি হয়ে মানুষকে মিষ্টি খাওয়াচ্ছেন, আমাদেরও আনন্দ লাগতেছে।’

আজকের সারাদেশ/১১জানুয়ারী/এএইচ

সর্বশেষ সংবাদ

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ চবি, রাতের মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ

কত টাকা পেল কোপা ও ইউরো চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা-স্পেন?

ঢাবিতে শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে আহত ১৮২, মেডিকেলেও হামলা

চবিতে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর দফায় দফায় চলছে ছাত্রলীগের হামলা

‘যৌতুক’ হিসেবে হবু জামাইকে বিসিএসের প্রশ্ন দিয়েছিলেন পিএসসি সদস্য

শখের বসে ৩০ বছর ধরে কাচের বাল্ব চিবিয়ে খান রাজশাহীর মুক্তার

নাটোরে ট্রেন থেকে ছিটকে পড়া কয়েক কেজি গাঁজা নিয়ে মানুষের কাড়াকাড়ি

নির্বাচনী সমাবেশে প্রকাশ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে গুলি

স্বঘোষিত মেধাবীরা কি বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগের পার্থক্য বুঝে না: ছাত্রলীগ সভাপতি

আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করলে পরিণাম ভালো হবে না: ছাত্রলীগ সেক্রেটারি