সকাল ৮:৪৯, শনিবার, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রমজান ঘিরে ধারে আট পণ্য আমদানির সুযোগ

আজকের সারাদেশ ডেস্ক:

ডলার সংকট ও ঋণপত্র খোলা নিয়ে জটিলতার মধ্যেও বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। এরমেধ্যে রমজান শুরু হতে বাকী মাত্র দুমাস। ডলার সংকট ও ঋণপত্র খোলা নিয়ে জটিলতার ছুতোয় রমজান ঘিরে নিত্য পণ্যের মূল্য হুহু করে বাড়িয়ে দিচ্ছে ব্যবসায়ীরা। তবে ডলার সংকট ও ঋণপত্র খোলা নিয়ে জটিলতা কাটাতে সরকারের নানা প্রদক্ষেপের মধ্যে রমজান ঘিরে ধারে আট পণ্য আমদানির সুযোগ রেখে গতকালই একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ। পণ্যগুলো হলো ভোজ্যতেল, ছোলা, ডাল, মটর, পেঁয়াজ, মসলা, চিনি ও খেজুর।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতি বছরই রমজানকে কেন্দ্র করে বাজারে প্রশাসনের নজরদারি, অভিযানসহ বিভিন্ন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়। এবার সে সম্ভাবনাকে মাথায় রেখে কয়েক মাস আগেই পণ্যগুলোর দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এ পরিস্থিতিতে সময়মতো আমদানির অভাবে পণ্যগুলোর বাজার যাতে অস্থিতিশীল না হয়ে ওঠে, সেজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে নতুন এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এসব পণ্য ৯০ দিনের সাপ্লায়ার্স বা বায়ার্স ক্রেডিটের আওতায় আমদানি করা যাবে। এ সুবিধা আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত চলবে। ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, এ সুযোগের ফলে বাকিতে পণ্য আমদানি করা যাবে। এখন ব্যাংকগুলো যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে আমদানির এলসি খুললে পণ্য সময়মতো চলে আসবে। এতে রমজান উপলক্ষে প্রয়োজনীয় পণ্যের জোগান নিশ্চিত হবে। তবে একটা সময় পর আমদানি দায় পরিশোধের চাপ আসবে।

ডলার সংকটের মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ক্ষয় রোধে ২০২২ সালের জুলাইয়ে বিলাসবহুল ও অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন পণ্যের আমদানির ক্ষেত্রে শতভাগ এলসি (ঋণপত্র) মার্জিন আরোপ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। মূলত প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করতে গিয়ে যাতে ডলারের জোগানে ঘাটতি দেখা না দেয়, সেজন্য এসব পণ্যের আমদানিকে নিরুৎসাহিত করা হয়।

এর পরও ডলারের সংকট কিংবা রিজার্ভের ক্ষয় ঠেকানো সম্ভব হয়নি। ব্যাহত হয়েছে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের আমদানিও। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে ২১৭ কোটি ডলারের খাদ্যশস্য আমদানি করা হয়েছে। যেখানে এর আগের অর্থবছরে এ খাতে আমদানি হয়েছিল ২৬১ কোটি ডলারের। এর মধ্যে চাল আমদানি ৫৪ কোটি ৬২ লাখ ডলার থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৫১ কোটি ৩৮ লাখ ডলারে। আর গম আমদানি ২০৬ কোটি ৪৮ লাখ ডলার থেকে কমে ১৬৫ কোটি ৭৮ লাখ ডলার হয়েছে।

গত অর্থবছরের আমদানির নিম্নমুখিতা অব্যাহত রয়েছে চলতি অর্থবছরেও। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) দেশের আমদানি কমেছে প্রায় ২১ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে আমদানি হয়েছে ২৫ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার, যেখানে এর আগের অর্থবছরের একই সময়ে ৩২ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলারের আমদানি হয়েছিল। এর মধ্যে গত বছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ে ভোগ্যপণ্যের এলসি খোলার পরিমাণ ২৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ ও এলসি নিষ্পত্তির পরিমাণ ২২ শতাংশ কমেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে ভোগ্যপণ্যের এলসি খোলা হয়েছে ২৬৪ কোটি ডলারের, যা এর আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৩৬৪ কোটি ডলার। একইভাবে এ সময়ে ভোগ্যপণ্য আমদানি ২৭৬ কোটি ডলারের এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে, যেখানে এর আগের অর্থবছরের একই সময়ে নিষ্পত্তি হয়েছিল ৩৫৫ কোটি ডলারের।

বিশ্লেষকরা বলছেন, আমদানি নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ সত্ত্বেও দেশে এখনো ডলারের তীব্র সংকট বিদ্যমান। সেই সঙ্গে রিজার্ভের ক্ষয়ও অব্যাহত রয়েছে। ব্যাংকগুলোয় ডলার মিলছে না বাড়তি দামেও। ফলে অতিজরুরি পণ্যও চাহিদামাফিক আমদানি করা যাচ্ছে না। বাধ্য হয়েই আমদানি কমিয়েছেন তারা, যার প্রভাব পড়েছে বাজারে পণ্যের মজুদের ওপর। এ কারণে সামনে রমজানকে ঘিরে এসব পণ্যের চাহিদা, মজুদ ও সম্ভাব্য জোগানের মধ্যে টানাপড়েন তৈরি হয়েছে। এর পাশাপাশি অনেকেই বিদ্যমান পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে পণ্যের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়িয়ে দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন চাল পাইকারিতে প্রতি বস্তায় (৫০ কেজি) ২০০-৩০০ টাকা বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আগে এখানে প্রতি বস্তা ব্রি-২৮ চাল ২ হাজার ২৫০ থেকে ২ হাজার ৩৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৫০ থেকে ২ হাজার ৭০০ টাকা। ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ৫০ টাকার প্রতি বস্তা মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ২৫০ থেকে ৩ হাজার ৩০০ টাকায়। স্বর্ণা ও পাইজাম চালেও দাম বেড়েছে কেজিতে ২-৩ টাকা।

সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে আটা ও ময়দার। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, প্যাকেটজাত আটা কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬৫ টাকায়। খোলা ও প্যাকেটজাত ময়দা কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা ও ৭০-৭৫ টাকায়। প্রতি কেজি মুগডাল বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ১০০-১৬০ টাকায়। যদিও এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ৯৫-১৩৫ টাকায়। ছোলার দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বর্তমানে ৯৫-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছোট দানার মসুর ডাল কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।

কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এসএম নাজের হোসাইন বলেন, ‘প্রতি বছরই রমজানের কয়েক মাস আগে থেকেই দাম বাড়ানো শুরু করে। রমজানের সময় তদারকি বেশি থাকে এ কারণে আগেই দাম বাড়িয়ে বাজার থেকে টাকা তুলে নেয়। এবারো তাই হচ্ছে। একদিকে নির্বাচন গেল এ সুযোগে সবকিছুর দাম বেড়েছে। চালের দামও বাড়ানো হয়েছে অথচ এখন ভরা মৌসুম। এ কারণে এখন থেকেই রমজানের তদারকি শুরু করতে হবে।

পেঁয়াজ ও রসুনের দামও এখন ঊর্ধ্বমুখী। বর্তমানে প্রতি কেজি দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দেশী রসুনের দাম ২০ টাকা বেড়ে বর্তমানে মানভেদে ২২০-২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমদানি হওয়া আদার দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ২০০-২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছোট এলাচের দাম প্রায় ৬০০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০০-৩৬০০ টাকায়। এদিকে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে প্রায় ২০ টাকা বেড়ে বর্তমানে ২০০-২১০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘স‌ব ধরনের ডালের দাম ঊর্ধ্বমুখী। আগে মুগডাল ১৪০ টাকায় বিক্রি করতাম। এখন প্রতি কেজির দাম ১৬০ টাকা। আমাদের বেশি দামে কিনে আনতে হয়। এ কারণে বেশি দামে বিক্রি করছি।’

এদিকে দেশে ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জেও বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন আড়তে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোজার আগে সবচেয়ে বেশি দাম বাড়ছে ছোলা, ডাল, চিড়া, গম ও চিনির। ভোজ্যতেলের মধ্যে পাম অয়েলের দাম না বাড়লেও সয়াবিনের দাম বেড়েছে। শীতে পাম অয়েল জমে শক্ত হয়ে যাওয়ার কারণে চাহিদা কম থাকায় দাম বাড়েনি। তবে রোজা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে এ পণ্যটির দামও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন তারা।

বাজার সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতি মণ (৩৭ দশমিক ৩২ কেজি) সয়াবিন ডিও (ডেলিভারি অর্ডার) পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৬ হাজার ৩০০ টাকায় এবং মিলগেট থেকে সংগ্রহ পর্যায়ে ৬ হাজার ৫০০ টাকায়। প্রস্তুত বা মিলগেট থেকে সরাসরি সংগ্রহ পর্যায়ে পাম অয়েল মণপ্রতি ৫ হাজার টাকায়, সুপার পাম অয়েল ৫ হাজার ৩০০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। অপরদিকে গমের দাম মণপ্রতি ১০০ থেকে ১২০ টাকা বেড়ে ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ (রাশিয়া) টাকায়, কানাডিয়ান গম ২ হাজার টাকায় লেনদেন হচ্ছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে গমের মূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি বেড়েছে চিড়ার দামও। রোজার অন্যতম নিত্যপণ্য চিড়ার দাম দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। বর্তমানে মানভেদে প্রতি বস্তা চিড়া ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকায় লেনদেন হচ্ছে। মূলত চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকায় চিড়ার বাজারও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

এদিকে গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি মণ চিনির দাম বেড়েছে প্রায় ৩০০ টাকা। নিত্য এ পণ্যটি বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে মণপ্রতি ৫ হাজার টাকায়। প্রতি কেজি ছোলার দাম গত ৭-১০ দিনের ব্যবধানে সর্বোচ্চ ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়ে লেনদেন হচ্ছে কেজিপ্রতি ৯৪ থেকে ১০৫ টাকায়। এছাড়া ডাবলি এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ২ টাকা বেড়ে ৬২ টাকায়, মোটা মসুর ডাল (আমদানীকৃত) ৩ থেকে ৪ টাকা বেড়ে ৯৮ থেকে ১০০ টাকায়, দেশীয় মসুর ৩-৪ টাকা বেড়ে কেজিপ্রতি ১৪০-১৫০ টাকায়, ছোলার ডাল ২-৩ টাকা বেড়ে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে।

খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ ছগীর আহমেদ বলেন, ‘দেশের নানামুখী সংকটের কারণে সরবরাহ কম। তাছাড়া ডলারের মূল্য বৃদ্ধি, ঋণপত্র খুলতে ব্যাংকগুলোর অনীহায় রোজার বাড়তি চাহিদার সমপরিমাণ পণ্য এখনো আমদানি হয়নি। যার কারণে সংকটের আশঙ্কায় বর্তমানে অনেক ব্যবসায়ীই রোজার কয়েক মাস আগেই পণ্য সংগ্রহ করে। যার প্রভাব পড়েছে পাইকারি বাজারে। বাজারে পর্যাপ্ত মজুদ ও সরবরাহ চেইনে কোনো সংকট না থাকলে রোজার পণ্য এ বছরও স্বাভাবিক দামেই বিক্রি হচ্ছে।’ এজন্য সরকার, প্রশাসন ও ব্যাংকগুলোর সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘রমজানে যেন বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ স্বাভাবিক থাকে সেজন্য আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। পণ্যের দাম তো অনেকগুলো কারণে বাড়ে। তবুও আমাদের তদারকি চলছে যেন কেউ অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে না পারে।’

আজকের সারাদেশ/১২জানুয়ারী/এএইচ

সর্বশেষ সংবাদ

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ চবি, রাতের মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ

কত টাকা পেল কোপা ও ইউরো চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা-স্পেন?

ঢাবিতে শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে আহত ১৮২, মেডিকেলেও হামলা

চবিতে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর দফায় দফায় চলছে ছাত্রলীগের হামলা

‘যৌতুক’ হিসেবে হবু জামাইকে বিসিএসের প্রশ্ন দিয়েছিলেন পিএসসি সদস্য

শখের বসে ৩০ বছর ধরে কাচের বাল্ব চিবিয়ে খান রাজশাহীর মুক্তার

নাটোরে ট্রেন থেকে ছিটকে পড়া কয়েক কেজি গাঁজা নিয়ে মানুষের কাড়াকাড়ি

নির্বাচনী সমাবেশে প্রকাশ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে গুলি

স্বঘোষিত মেধাবীরা কি বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগের পার্থক্য বুঝে না: ছাত্রলীগ সভাপতি

আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করলে পরিণাম ভালো হবে না: ছাত্রলীগ সেক্রেটারি