মাহমুদ হাসান:
কনকনে শীত। কম্বল মুড়িয়েও যেন নিজেকে রক্ষা করা যাচ্ছে না শৈত্যপ্রবাহের কবল থেকে। জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে দেশের সর্বত্র জেঁকে বসেছে শীত। বয়ে চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। সেই সাথে সুবিধাবঞ্চিত মানুষেরও বেড়েছে কষ্ট।
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নে অবস্থিত মনাই ত্রিপুরা পল্লীতে বসবাস কিছু উদ্বাস্তু মানুষের। এ পল্লীর লোকজনের নিজস্ব কোনো বসতভিটা নেই। অন্যের জমি বা সরকারি জায়গায় কোনোমতে বসবাস করেন তারা। দিনমজুরি কিংবা জুমচাষ করেই চলে তাদের সংসার। তাই তীব্র শীত হোক আর গরম হোক, তাদের থাকে না বিশেষ কোনো প্রস্তুতি। দিনে এনে দিনে খাওয়া এ মানুষগুলোর শীতবস্ত্র কেনার মতো পর্যাপ্ত টাকা নেই।
বিষয়টি জানতে পেরে সম্প্রতি তাদের মাঝে কম্বল এবং কিছু জামাকাপড় বিতরণ করেন এক ব্যক্তি। তবে তিনি গণমাধ্যমের কাছে নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি। বললেন, এটা মানুষের প্রতি ভালোবাসা থেকেই দেওয়া। ১২ জানুয়ারি মনাই ত্রিপুরা পল্লীর অর্ধশতাধিক মানুষের মাঝে শাড়ি-লুঙ্গি ও কম্বল বিতরণ করেন তিনি।
পল্লী প্রধান শচীন কুমার ত্রিপুরা বলেন, এ দূর্গম এলাকায় কনকনে শীতে কম্বল পেয়ে আমরা খুবই আনন্দিত। কম্বলের পাশাপাশি বৃদ্ধদের লুঙ্গি এবং বৃদ্ধা মহিলাদের শাড়ী দেওয়া হয়। তিনি বলেন, এক সময়ের অবহেলিত এ পল্লীতে বর্তমানে সরকারের নানামুখী সহযোগিতায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগতে শুরু করেছে৷ আমরা চাই এই দুই পল্লীর দিকে সরকার যেন আরও বেশি নজর দেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের দুটি উপজাতীয় পল্লী রয়েছে। একটি সোনাই ত্রিপুরা পল্লী, অন্যটি মনাই ত্রিপুরা পল্লী। এ দুই পল্লীতে ৩৭৫ জনের বসবাস। বিদ্যুৎ দূরের কথা, আধুনিকতার ছোঁয়াই যেন লাগেনি এখানে। বংশানুক্রমে উপজাতীয় ৫৫ পরিবার দীর্ঘদিন এখানে বসবাস করে আসছে। হাটহাজারী উপজেলার তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও রহুল আমিনের প্রচেষ্টায় কিছুটা আধুনিকতার ছোঁয়া লাগে সেই পল্লীতে।
আজকের সারাদেশ/এমএইচ