আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে বাসা খুঁজতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক তরুণী। এই ঘটনায় তরুণীর খালার দায়ের করা মামলায় এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ এখনও পলাতক রয়েছেন আরও ৬ জন।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে কর্ণফুলী থানার শিকলবহা ইউনিয়নের বিল্লাপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার ১৯ বছর বয়সী মো. আকাশ শিকলবহা বায়ললাপাড়া এলাকার মো. ফারুকের ছেলে। পলাতক ৬ আসামি হলো শিকলবাহা ২ নম্বর ওয়ার্ডের ফরিদ আহম্মেদের পুত্র ওমর ফারুক (২৩), ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত সুলতান মাঝির ছেলে মো. সোলেমান (২৩), রাজ্জাকের ছেলে মো.রাজু (২৪), মামুনের ছেলে সাকমান (২০), নুরুল আমিনের ছেলে জোবাইদ (২৩), এবং মৃত শেখ আহম্মদের মো. ছেলে আসিফ (২৩)।
তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহির হোসেন।
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, ১৮ জানুয়ারী সকাল ৭ টার দিকে কক্সবাজারের পেকুয়ায় নিজ বাড়ি থেকে বড় ভাইয়ের বাসায় বেড়াতে বের হন ১৮ বছর বয়সী ওই তরুণী। কিন্তু শুক্রবার ওই তরুণীর খালাকে ফোন করে ভুক্তভোগী তরুণী চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি বলে জানায় পুলিশ। এতে তরুণীর খালা থানায় গিয়ে ঘটনার বিষয়ে জানতে পারেন।
পরে থানায় দায়ের করা মামলায় তরুণী খালা উল্লেখ করেন, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে পেকুয়া থেকে চট্টগ্রামে কর্ণফুলী থানার মইজ্জ্যারটেক এলাকায় এসে নামেন। এসময় মো. শওকত নামের এক মাহিন্দ্রা চালকের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। ভুক্তভোগী তরুণী শওকতকে গার্মেন্টসে চাকরির আগ্রহের কথা জানিয়ে একটি বাসা খুঁজে দেওয়ার অনুরোধ করেন। এতে মাহিন্দ্রা চালক বাসা খোঁজার জন্য তার বান্ধবী বিলকিছ আক্তার ও ইমন নামের এক বন্ধুকে ফোন করে মইজ্জ্যারটেক মোড়ে ডেকে নেন।
পরে ভুক্তভোগী তরুণীসহ ঐদিন সন্ধ্যার দিকে পায়ে হেঁটে কর্ণফুলীর শিকলবাহা এলাকায় বাসা খুঁজতে থাকেন তারা। রাতে সাড়ে ১০ টার দিকে শিকলবাহা ইউনিয়নের বিল্লাপাড়া এলাকায় তিন রাস্তার মোড়ে পৌঁছালে আসামিরা বাকীদের মারধর করে ভুক্তভোগী তরুণীকে জোরপূর্বক অটোরিকশা তুলে পার্শ্ববর্তী একটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনে নিয়ে যায়। সেখানে খোলা মাঠে পালাক্রমে ভুক্তভোগী তরুণীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে তারা।
ভুক্তভোগী তরুণীর সঙ্গে থাকা বিলকিস মইজ্জ্যারটেক মোড়ে গিয়ে পুলিশকে বিষয়টি জানালে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার এবং আসামি আকাশকে আটক করে পুলিশ।
এই বিষয়ে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহির হোসেন বলেন, ‘গতকাল রাতে ঘটনার বিষয়ে খবর পেয়ে তৎক্ষনাৎ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ভুক্তভোগী তরুণীকে উদ্ধার ও তৎক্ষণাৎ এক আসামিকে আটক করা হয়। এই ঘটনায় শুক্রবার ভুক্তভোগী তরুণীর খালা বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। এজহারনামীয় বাকী আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
ভুক্তভোগী তরুণী এখনও চমেক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে জানান তিনি।#
আজকের সারাদেশ/১৯জানুয়ারী/এএইচ