রাত ৯:৩০, বৃহস্পতিবার, ২২শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কালুরঘাট সেতু: রেলমন্ত্রী জানালেন আরও ৪-৫ বছর লাগবে, ছালাম থাকলেন ‘চুপ’

আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ওপর কালুরঘাট সেতু নির্মাণের দাবি বহু বছর ধরে। সেতু না থাকায় এখন বোয়ালখালীবাসীকে ঝুঁকি আর ভোগান্তি নিয়ে পার হতে হচ্ছে ফেরি দিয়ে। এই আসনের সর্বশেষ তিন সংসদ সদস্যই তাই কালুরঘাট সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মানুষকে। কিন্তু পারেননি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হওয়া আবদুচ ছালামও একই অঙ্গীকার করেছেন।

তবে ছালামের সময়েও কালুরঘাট সেতু হওয়ার সম্ভাবনা কম। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, কালুরঘাট সেতু নিয়ে সমীক্ষা হয়েছে। অর্থায়ন নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্থা অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগিতা তহবিলের (ইডিসিএফ) সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। আশা করছি ৪-৫ বছরের মধ্যে কালুরঘাট সেতু নির্মাণ হবে।’

চট্টগ্রাম নগরীর রেলওয়ে অফিসার্স রেস্ট হাউসে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এই কথা বলেন রেলমন্ত্রী।

এই সময়ে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে বোয়ালখালী-চান্দগাঁও আসনের সংসদ সদস্য আবদুচ ছালামও ওই রেস্ট হাউসে ছিলেন। তিনি নির্বাচনের আগে সহসা কালুরঘাট সেতু নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছিলেন। তবে কালুরঘাট সেতুর বিষয়ে জানতে চাইলে বুধবার তিনি তেমন কোনো মন্তব্য করতে চাননি। বলেন, ‘মানুষ এখন এই বিষয়ে কথা শুনতে রাজি না, বাস্তবায়ন দেখতে চায়।’

নিজের পরিকল্পনা নিয়ে মো. জিল্লুল হাকিম আরও বলেন, রেল এক সময় বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়ে যাওয়ার অবস্থা হয়েছিল। রেললাইন উপড়ে ফেলা হচ্ছিল। এরপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলকে ঢেলে সাজাচ্ছেন। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলা রেল যোগাযোগের আওতায় নিয়ে আসার কাজ চলছে। গ্রামীণ কৃষকদের উৎপাদিত ফসল যাতে ট্রেন যোগে শহর পর্যন্ত চলে আসে প্রান্তিক কৃষক যেন যথাযথ মূল্য পান সে লক্ষ্যে কাজ করছি৷ বেশ কিছু জায়গায় অনেক ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে। সেগুলো নতুন করে চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে জানিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘রেলকে সচল করার চেষ্টা করব। অনেক স্থানে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সেগুলো স্বাভাবিক করার পরিকল্পনা রয়েছে।’

রেলকে নতুনভাবে ঢেলে সাজাতে পাঁচ হাজারের উপরে লোকবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানান রেলমন্ত্রী। তিনি বলেন, তাদের দক্ষ করে গড়ে তুলার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

কক্সবাজার রুটে আগামী দুই মাসের মধ্যে একটি কমিউটার ট্রেন চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন মো. জিল্লুল হাকিম। তিনি বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা সেটা হলো লোকো মাস্টার সমস্যা। লোকো মাস্টার নিয়োগ খুব শিগগিরই নতুন ট্রেন চালু হবে। অনেক ইঞ্জিন ও কোচ আমদানি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে কিছু আমদানি হয়েছে। সমস্যা কেটে গেলে আরো ট্রেন চালু হবে।’

নতুন হলেও চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। বলেন, ‘আমি এখনো শিক্ষানবিশ। তবে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে পরিকল্পনা রেল নিয়ে সেটি আমি বাস্তবায়ন করব।’