আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ত্রাণ সরবরাহ করতে না পারায় মানুষ খাবারের অভাবে এখন পশুপাখির খাবার গুঁড়ো করে সেগুলো দিয়ে আটা তৈরি করে খাচ্ছেন।
বেসরকাররি আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অ্যাকশনএইড নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ‘গাজায় এখন দুর্ভিক্ষ অতি নিকটে রয়েছে। খাদ্যের অভাব ‘বিপর্যয়কর’ পরিস্থিতিতে পৌঁছাচ্ছে। গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার প্রত্যেকে এখন তীব্র খাদ্য সংকটে ভুগছে। কেউ কেউ খাবারের জন্য এতটাই মরিয়া যে তারা এখন পশুপাখির খাবার গুড়া করে সেগুলো আটা হিসেবে ব্যবহার করছেন। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। সেখানে ত্রাণ পৌঁছানো খুবই কঠিন।’
বিশ্ব খাদ্য পোগ্রাম জানিয়েছে, গাজায় বর্তমানে পাঁচ বছরের কম বয়সী ৩ লাখ ৩৫ হাজার শিশু রয়েছে; তারা কেউই পর্যাপ্ত পুষ্টি পাচ্ছে না। যা তাদের বেড়ে ওঠা বাধাগ্রস্ত এবং দীর্ঘকালীন শারীরিক জটিলতা তৈরি করছে। শিশুদের পাশাপাশি মায়েরাও পুষ্টিহীনতায় ভুগছেন। কিছু মা পর্যাপ্ত খাবার না পাওয়ায় দুগ্ধজাত শিশুদের দুধও পান করাতে পারছেন না।
একজন মা জানিয়েছেন, চলমান যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়ার পর তার সন্তান জন্ম নিয়েছে। কিন্তু খাদ্যের অভাবে পর্যাপ্ত দুধ উৎপন্ন না হওয়ায় এবং বাজারের খোলা দুধের দাম বেশি হওয়ায় তিনি তার সন্তানকে এখন দুধও দিতে পারছেন না।
আজকের সারাদেশ/এমএইচ