আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাস মল্লিক সবুজের পক্ষের নেতা-কর্মীদের হামলায় চোখ হারানোর শঙ্কায় পড়েছেন আরেক ছাত্রলীগ নেতা। আহত ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম সৈয়দ মোস্তফা সাদিক রিজভী। তিনি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহসম্পাদকের দায়িত্বে আছেন।
মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) নগরের চকবাজার থানায় এ ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ভুক্তভোগী সৈয়দ মোস্তফা সাদিক রিজভী।
আহত সৈয়দ মোস্তফা সাদিক রিজভী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা চক্ষু হাসপাতালে পাঠানোর পরার্মশ দিয়েছেন চিকিৎসক।
অভিযোগপত্রে রিজভী লেখেন, গত ২৮ জানুয়ারি আনুমানিক বেলা ১২টার দিকে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যেতে আমার সার্টিফিকেট সত্যায়িত করতে কলেজে যাই। বাংলা বিভাগের সামনে গেলে সেখানে আমার কিছু রাজনৈতিক বড় ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হয়। পরে তারা আমার কলেজে আসার কারণ জানতে চায়। যথারীতি আমি তাদের কলেজে আসার কারণ জানাই। এরপর হঠাৎ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শির্ক্ষাথী মনির রায়হানের নেতৃত্বে শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী জিয়াউদ্দিন আরমান, শাখা ছাত্রলীগের উপ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ও ইতিহাস চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মোহাম্মাদ ফয়সাল, উপ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও কলেজের ভূগোল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র আব্দুর রাজ্জাক, শাখা ছাত্রলীগের উপ গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ও বাংলা চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মো. নোমান শিমূ ও ইংরেজি বিভাগের জনি, এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাকিব বাবু আমাকে বেধড়ক মারধর শুরু করেন। পরে কলেজের শিক্ষকরা এগিয়ে এলে তারা আমাকে মাটিতে ফেলে চলে যায়।’
এছাড়াও হামলাকারীরা কলেজে আবার দেখলে মেরে ফেলার হুমকি দেন বলেও অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী রিজভী। তিনি বলেন, হামলাকারীরা আমাকে নানাভাবে প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে আসছে। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নিলে আরও বড় ধরনের ক্ষতি করবেন বলেও হুমকি দিচ্ছেন তারা। এমন পরিস্থিতিতে একদিকে চোখের ব্যথা অন্যদিকে হুমকির কারণে আমি শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত অবস্থায় দিনযাপন করছি।
জানতে চাইলে সুভাষ মল্লিক সবুজ বলেন, ছোট ভাইদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। আমি সবাইকে ডেকেছি, বসে মিমাংসা করে দিচ্ছি।
আজকের সারাদেশ/এমএইচ