দুপুর ১:৩৩, শনিবার, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিষোয়ানের বিস্কুটে তামার তার পেলেন চবি শিক্ষক

আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:

স্বাদে-মানে ভালো শুনে বাসায় কিষোয়ান গ্রুপের টোস্ট বিস্কুট নিয়ে গিয়েছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. অঞ্জন কুমার চৌধুরী। কিন্তু সেই বিস্কুটে কামড় বসাতে গিয়ে আরেকটু হলে বেশ বিপদেই পড়তেন এই শিক্ষক। কেননা বিস্কুটের মাঝখানেই যে ‘বসে আছে মৃত্যুদূত’। চারটি তামার তার পাওয়া গেল সেই বিস্কুটের পেটেই। বড়শির মতো হা করে থাকা এসব তামার তারে তাই ঘটতে পারত বড় দুর্ঘটনা।

কয়েকদিন আগে এই অপ্রীতিকর পরিস্থিতির শিকার হন অধ্যাপক ড. অঞ্জন চৌধুরী। তিনি বিস্কুট ও তামার তার এবং প্যাকেটের ছবি নিজের ফেসবুকে তুলে ধরেন। অঞ্জন চৌধুরী কীভাবে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় সেই বিষয়ে সবার কাছে পরামর্শ চান। লেখেন, ‘কিষোয়ান বিস্কিটে তামার তার। কি সাংঘাতিক। কেউ কি একটু বলবেন কীভাবে এই কোম্পানির মালিককে শাস্তির আওতায় আনা যায়।’ তাঁর সেই স্ট্যাটাসটি মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই তাঁকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিতে বলেন।

কিষোয়ান গ্রুপ চট্টগ্রামের প্রসিদ্ধ খাবার তৈরি প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। প্রতিষ্ঠানটির মালিক চট্টগ্রামের এক সংসদ সদস্য। এমন একটি নামকরা প্রতিষ্ঠানের বিস্কুটে তামার তার দেখে হতাশ হয়েছেন ভোক্তাদের অনেকেই। তাঁরা বলছেন, মানে ভালো মনে করে আমরা কিষোয়ানের বিস্কুট খাই। কিন্তু এখন তো দেখছি ভোক্তাদের প্রতি তাদের কোনো দায় নেই। যেভাবে বিস্কুটের ভেতর তামার তার রেখে দেওয়া হলো, ভুলে মুখে ঢুকে গেলে কি এক দুর্ঘটনায় না ঘটতো। এমন দায়িত্বহীন কাজের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি হওয়া উচিত।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জামাল নজরুল ইসলাম গণিত ও ভৌত বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালকের দায়িত্বে আছেন অধ্যাপক ড. অঞ্জন কুমার চৌধুরী। প্রবীন অধ্যাপক কোনোভাবেই বিস্কুটের ভেতর তামার তার থাকার বিষয়টি মানতে পারেননি।

জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. অঞ্জন কুমার চৌধুরী আজকের সারাদেশকে বলেন, ‘বিস্কুটের ভেতর তামার তার পাওয়ার পর আমি অভিযোগ জানাতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারা আমাকে অনলাইনে অভিযোগ জমা দিতে বলেন এবং পরে ফোনে তাঁদের কর্মকর্তারা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন বলে জানান। কিন্তু কয়েকদিন কেটে গেলেও এখনো সংস্থাটি থেকে কেউ ফোন করেননি।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে কিষোয়ান গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক (বিক্রয়-চট্টগ্রাম) জহির আহমেদ মজুমদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি শোনার পর ফোনের লাইন কেটে দেন। এরপর আরও কয়েকবার যোগাযোগ করা হলেও ফোন ধরেননি।

আজকের সারাদেশ/এমএইচ

সর্বশেষ সংবাদ

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ চবি, রাতের মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ

কত টাকা পেল কোপা ও ইউরো চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা-স্পেন?

ঢাবিতে শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে আহত ১৮২, মেডিকেলেও হামলা

চবিতে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর দফায় দফায় চলছে ছাত্রলীগের হামলা

‘যৌতুক’ হিসেবে হবু জামাইকে বিসিএসের প্রশ্ন দিয়েছিলেন পিএসসি সদস্য

শখের বসে ৩০ বছর ধরে কাচের বাল্ব চিবিয়ে খান রাজশাহীর মুক্তার

নাটোরে ট্রেন থেকে ছিটকে পড়া কয়েক কেজি গাঁজা নিয়ে মানুষের কাড়াকাড়ি

নির্বাচনী সমাবেশে প্রকাশ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে গুলি

স্বঘোষিত মেধাবীরা কি বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগের পার্থক্য বুঝে না: ছাত্রলীগ সভাপতি

আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করলে পরিণাম ভালো হবে না: ছাত্রলীগ সেক্রেটারি