আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতভর ইরাক ও সিরিয়ার বিভিন্ন স্থানের মোট ৮৫টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলায় ‘উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি’সহ অনেক বেসামরিক ও সামরিক কর্মী নিহতও হয়েছেন। এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
শনিবার এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, মধ্যপ্রাচ্যের ‘আগুনে তেল’ ঢালছে ওয়াশিংটন। ‘ইরাক ও সিরিয়ায় এই হামলার সম্পূর্ণ দায়ভার যুক্তরাষ্ট্র বহন করে’ বলেও উল্লেখ করেছে সংগঠনটি।
এদিকে হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে বিবৃতি দিয়েছে সিরিয়া। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শনিবার এক বিবৃতিতে জানায়, ইরাক ও সিরিয়ার যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলা খুব বিপজ্জনক উপায়ে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতে ইন্ধন জোগায়। হামলার নিন্দা জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, এই হামলার ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের প্রচারিত সব অজুহাত এবং মিথ্যাকে স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করে সিরিয়া।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ইরাকও একই ধরনের সতর্কবার্তা প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলা ‘মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল করতে পারে বলে’ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ইরাকের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া রসুল। তিনি আরও বলেন, ‘এই হামলাগুলোকে ইরাকের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। আর এই আক্রমণ ইরাক এবং এই অঞ্চলকে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণতির দিকে টেনে নিয়ে যেতে পারে এমন হুমকি তৈরি করছে।’ মার্কিন আক্রমণের ফলাফল ইরাক এবং অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হবে বলেও উল্লেখ করেছেন ইয়াহিয়া রসুল।
আজকের সারাদেশ/একে