আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
তুরাগতীরের ইজতেমায় আখেরি মোনাজাত শেষ হয়েছে। এতে অংশ নিয়েছেন লাখো মুসল্লি। হাট-ঘাট মাঠ যে যেখানে রয়েছেন সেখানই এই মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন মানুষ। এখন সবাই ঘরমুখি হয়েছেন। এতে সড়কে স্রোত নেমেছে মানুষের। গাড়ির সংখ্যা অপ্রতুল এবং মোনাজাতের সুবিধার জন্য গাড়ি প্রবেশ করতে না দেওয়ায় এতে ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থায় আশ-পাশ সড়কে অবস্থান নিয়েছেন অপেক্ষামান যাত্রীরা। তবে অনেকেই গাড়ির অপেক্ষা না করে পায়ে হেটে রওনা দিয়েছেন।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় মোনাজাত শেষ হয়।। এর পরেই সড়ক, ট্রেন এবং নৌপথে ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে কয়েকদিন আগে থেকেই মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন ইজতেমা মাঠে।
ইজতেমা ময়দানের বিদেশি নিবাসের পূর্বপাশে বিশেষভাবে স্থাপিত মোনাজাত মঞ্চ থেকে এ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
আশুলিয়া থেকে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে এসেছেন সামসুল ইসলাম। তিনি বলেন, সকালে ইজতেমা ময়দানে আসতে তেমন কোন ঝামেলা হয়নি। বাসেই কামারপাড়া নেমে আখেরি মোনাজাত শেষ করেছি। ফেরার সময় কোন গাড়ি না পেয়ে পায়ে হেঁটেই রওনা দিয়েছি। এতে কষ্ট হলেও লাখো মুসল্লির সাথে নিজেকে উপস্থাপন করতে পেরে ভাল লাগছে।
গাজীপুরের কাপাসিয়ার বাসিন্দা মো. শাহ জালাল বলেন, লাখো মুসল্লির সাথে হাঁটতে পেরে ক্লান্তি দূর হয়ে গেছে।
বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ আবু সায়েম জানান, সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, টঙ্গীর কামারপাড়াসহ আশপাশ এলাকায় বেলা বাড়ার সাথে সাথে মুসল্লিদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। ১২টা ১৫ মিনিটে আখেরি মোনাজাত শুরু হয়ে ১২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত তা স্থায়ী থাকে।
মোনাজাতের পরপরই আখেরি মোনাজাতের উদ্দেশ্যে আসা মুসল্লিরা ইজতেমা এলাকা ছাড়ছেন। তবে খিত্তায় অবস্থান নেয়া মুসল্লিরা পর্যায়ক্রমে ময়দান ছাড়বেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আগামীকাল পর্যন্ত ময়দানে অবস্থান করবেন।
আখেরি মোনাজাতে দেশের কল্যাণ, মুসলিম উম্মার সুদৃঢ় ঐক্য, আখেরাত ও দুনিয়ার শান্তি কামনা করা হয়। এসময় দুহাত তুলে মহান আল্লাহ’র দরবারে ফরিয়াদ জানায় লাখ লাখ মুসল্লি।
আজকের সারাদেশ/একে