আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করেন হামাস। ওই আলেচনায় গাজার ইসরায়েলের হামলা বন্ধ এবং জিম্মিদের মুক্তির একটি কাঠামো তৈরি করেন তারা। এরপর সেটি পাঠানো হয় হামাসের কাছে।
গত সপ্তাহে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর, ইসরায়েলের গোয়েন্দা প্রধান এবং কাতারের প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বসেন।
সেই কাঠামো পর্যালোচনা করে গতকাল মঙ্গলবার (৬ জানুয়ারি) একটি পাল্টা প্রস্তাব দিয়েছে হামাস। যদিও এই প্রস্তাবটি গোপন রাখার কথা ছিল। কিন্তু এটি ফাঁস হয়ে গেছে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স সেই প্রস্তাবটি প্রকাশ করেছে। এতে হামাস তিন ধাপের বিরতির কথা বলেছে এবং তিনটি ধাপ শেষ হওয়ার পর স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে তারা। আর এই তিনটি ধাপের প্রত্যেকটির মেয়াদ হবে ৪৫ দিন। অর্থাৎ সবমিলিয়ে ১৩৫ দিনের যুদ্ধবিরতি হবে। এরপর আলোচনার মাধ্যমে এটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রূপ নিবে।
আর এই সময়ের মধ্যে সব জীবিত ও মৃত সব জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস, গাজার পুনর্গঠনের কাজ শুরু হবে, সব ইসরায়েলি সেনাকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে এবং মরদেহ আদান-প্রদান করা হবে।
হামাসের প্রস্তাবে বলা আছে— প্রথম ধাপে তারা সব নারী, বৃদ্ধ, অসুস্থ এবং ১৯ বছরের নিচের সব পুরুষকে মুক্তি দেবে।
দ্বিতীয় ধাপে সব পুরুষ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং তৃতীয় ধাপে মৃতদের মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে। তৃতীয় ধাপ শেষে স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধে দুই পক্ষ সম্মত হবে।
হামাস দাবি করেছে, এই যুদ্ধবিরতি চলাকালীন ১ হাজার ৫০০ বন্দিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল। যার এক-তৃতীয়াংশ হবে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনিরা।
এছাড়া গাজা উপত্যকায় ত্রাণের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। হামাস দাবি করেছে, প্রতিদিন গাজায় অন্তত ৫০০ ট্রাক ত্রাণ পৌঁছাতে দিতে হবে।
আজকের সারাদেশ/একে