আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে হওয়া মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর আত্মসমর্পণ পূর্বক জামিনের আবেদনে জামিন পেয়েছে চট্টগ্রাম-১০ আসনের এমপি মহিউদ্দিন বাচ্চু।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো.সালাউদ্দিনের আদালত এই
আদেশ দেন। এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি একই আদালত মহিউদ্দিন বাচ্চুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গত ১৬ জানুয়ারি নগরের ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছিল।
মহিউদ্দিন বাচ্চুর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল বলেন, মহিউদ্দিন বাচ্চুর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। জামিন যোগ্য ধারার মামলায় হওয়াতে আদালত শুনানি শেষে জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
মামলার এজাহার উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ২২ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম-১০ আসনের সকল মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের এক হাজার টাকা করে এবং মাদানী মসজিদে এক লাখ টাকা অনুদানের চেক দেন মহিউদ্দিন বাচ্চু। যা জুমার নামাজের খুতবার আগে মুসল্লিদের অবহিত করেন।
একইভাবে ২৪ ডিসেম্বর লালখান বাজারে তার প্রধান নির্বাচনী কার্যালয় থেকে মসজিদগুলোর ইমাম, মুয়াজ্জিনদের ৬০ হাজার টাকা করে অনুদানের চেক দেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি ২১টি মসজিদ, মন্দির ও প্যাগোডায় অনুদানের চেক বিতরণ সত্যতা পায়। এনিয়ে ৪ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন মামলা করার নির্দেশ দেয়।
জেলা পিপি এড. ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, নির্বাচনী আচারণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলাটি হয়েছিল। পরে সমন জারি করেন আদালত। সমনটি জারি হয়ে আদালতে সমনটি ফেরত আসছে পরবর্তী ধাপ হিসাবে গ্রেফতার পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
আজ জামিন আবেদন করলে আদালতে তার জামিন আবেদন মঞ্জুর তাকে জামিনে মুক্তি দেন।
প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১০ আসনে নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুলকপি প্রতীকের প্রার্থী মনজুর আলমকে প্রায় ২০ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে জয়ী হন মহিউদ্দিন বাচ্চু।
আজকের সারাদেশ/একে