আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) নাট্যকার সেলিম আল দীনের কবরের ওপর আপত্তিকর অবস্থায় প্রেমিকাসহ এক পুলিশ কনস্টেবলকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে নাট্যকার সেলিম আল দীনের কবরের ওপর থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক পুলিশ কনস্টেবলের নাম ইমরুল হাসান শুভ। তিনি কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালী থানার শিমড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানায় কর্মরত।
প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য এক নারীর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়াত অধ্যাপক সেলিম আল দীনের কবরের বেদিতে আপত্তিকর অবস্থায় বসে থাকতে দেখা যায়। পরে সেখানে থাকা শিক্ষার্থীরা বিষয়টি কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণের পরে তাদের কাছে গিয়ে নাম পরিচয় জানতে চাইলে অভিযুক্ত ব্যক্তি পুলিশের পরিচয় দিয়ে শিক্ষার্থীদের উপর চড়াও হয়। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তা শাখাকে জানালে নিরাপত্তা শাখা তাদের নিয়ে যায়।
আটককৃত পুলিশ কনস্টেবল ইমরুল হাসান শুভ সব দোষ স্বীকার করে মুচলেকায় স্বাক্ষর করেন।তিনি বলেন, আমি চাকরি থেকে ছুটিতে এসেছি। আমরা বিয়ে করার জন্যই বের হয়েছি। জাহাঙ্গীরনগরে শুধু ঘুরতে এসেছিলাম। আমরা শুধু পাশাপাশি কাঁধে হাত দিয়ে বসে ছিলাম।
আটককৃত রুমানা বলেন, আমাদের দীর্ঘ চার বছরের প্রেম। আমরা বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছি বিয়ে করার জন্য। আমি সাভারেই নার্সে চাকরি করি। এজন্য জাহাঙ্গীরনগরে ঘুরতে এসেছিলাম। তখন আমরা না জেনে সেলিম আল দীন স্যারের কবরের এইখানে দুজনে কাঁধে হাত দিয়ে বসেছিলাম। তখন আমাদের এই অবস্থায় কিছু শিক্ষার্থী এসে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তখন ইমরানের সাথে বাকবিতণ্ডা হলে আমাদের নিরাপত্তা শাখায় নিয়ে আসা হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহিন বলেন, আমি তাদেরকে সেলিম আল দীন স্যারের কবরের এইখানে আপত্তিকর অবস্থায় পাই। তারা বিয়ে করার জন্য বাড়ি থেকে পালিয়ে আসলে এরকম আপত্তিকর অবস্থায় পাওয়ার কথা না। আমি মুচলেকা নিয়েছি, তাদেরকে তাদের অভিভাবকের কাছে দিয়ে দিবো। আমি আটককৃত ইমরুল হাসানের দায়িত্বরত পুলিশ প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি। তারা তাদের আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে।
আজকের সারাদেশ/একে/এমএইচ