আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে ডিনার করতে গিয়ে রাজধানীর বেইলি রোডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মারা গেছেন স্ত্রী-সন্তানসহ এক কাস্টমস কর্মকর্তা।
শনিবার (২ মার্চ) সকালে তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন- উখিয়ার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের পূর্ব গোয়ালিয়া পালং গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আবুল কাশেমের মেঝ সন্তান কাস্টমস কর্মকর্তা শাহ জালাল উদ্দিন, তার স্ত্রী মেহেরুন নেছা হেলালি মিনা (২৪) ও তিন বছরের মেয়ে ফাহিরুজ কাশেম জামিরা।
নিহত শাহ জালাল কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা হিসেবে কেরানীগঞ্জের পানগাঁও অফিসে কর্মরত ছিলেন।
মুক্তার আলম হেলালি বলেন, তার মেয়ে ও মেয়ের জামাই শাহ জালালের তিন দিনের ছুটিতে খাগড়াছড়ি যাওয়ার কথা ছিল। তিনি কয়েকদিন আগে মেয়ের বাসায় আসেন।
তার আরেক মেয়ে দিনাও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা দিতে ঢাকায় আসে। ঘটনার সময় ওই মেয়ে রাজধানীর মনিপুরে বান্ধবীর বাসায় ছিল। ঘটনার পর থেকে তাদের মোবাইলে না পেয়ে খুঁজতে খুঁজতে ঢামেক হাসপাতালে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মরদেহ দেখে শনাক্ত করেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে তারা বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে ডিনার করতে যান। এসময় অগ্নিকাণ্ডে স্ত্রী ও সন্তানসহ তার ভাইয়ের মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, তার ভাইয়ের শ্বশুর ও কাস্টমস অফিসের কর্মকর্তারা মরদেহ শনাক্ত করতে পেরেছেন। ধারনা করা হচ্ছে অতিরিক্ত ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
ফলে এ নিয়ে হস্তান্তর সম্পন্ন হলো ৪৪টি মরদেহ। হস্তান্তরের অপেক্ষায় রয়েছে আরও দুইটি মরদেহ। এদিকে, এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এছাড়া, তিনজনকে গ্রেফতারও করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ভবনটির নিচতলার চা-কফির দোকান ‘চুমুক’ এর দুই মালিক আনোয়ারুল হক ও শফিকুর রহমান রিমন এবং তৃতীয় তলার ‘কাচ্চি ভাই’র ব্যবস্থাপক জয়নুদ্দিন জিসান।
আজকের সারাদেশ/এমএইচ