আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শ্রীলংকার বিপক্ষে প্রথম টি২০ ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং নেয়া বাংলাদেশ ২০৭ রানের বিশাল টার্গেটের সামনে পড়ে। একটি সময় এই রান তাড়া করে জেতা অসম্ভবই মনে হচ্ছিল। যদিও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও জাকের আলীর বীরত্বপূর্ণ ব্যাটিং দলকে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে দিয়েছিল। কিন্তু পারেনি বাংলাদেশ। তীরে গিয়ে তরী ডুবল স্বাগতিকদের। ৮ উইকেটে ২০৩ রান করা বাংলাদেশের হার ৩ রানে।
মাহমুদউল্লাহ ৩১ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৫৪ ও জাকের আলী ৩৪ বলে ৪ চার ও ৬ ছক্কায় ৬৮ রান করেন। এর আগে বাংলাদেশ দলের হয়ে গত বছর এশিয়ান গেমস ক্রিকেটে খেললেও সেটি জাতীয় দল ছিল না। এটিই বাংলাদেশ জাতীয় দলে তার প্রথম ম্যাচ এবং এই ম্যাচে বাঘের মতোই হুংকার দিয়েছেন সিংহলিজদের। শেষ পর্যন্ত ম্যাচে টিকিয়ে রাখেন স্বাগতিদের। বাংলাদেশের যখন ৪ বলে ১০ রানের প্রয়োজন তখন লং-অফে আসালঙ্কার হাতে ধরা পড়েন তিনি। সেখানেই স্বপ্নের সলীল সমাধি ঘটে বাংলাদেশের। পরে শরিফুল একটি বাউন্ডারি মারলে শেষ বলে ৫ রানের প্রয়োজন পড়ে। যদিও দাসুন শানাকার চাতুর্যপূর্ণ বোলিংয়ের মুখে বাউন্ডারি নিতে পারেননি তাসকিন আহমেদ।
এর আগে স্বাগতিকদের শুরুতেই সাফল্য এনে দেন শরিফুল ইসলাম। প্রথম ওভারেই তিনি সাজঘরে ফেরান আভিস্কা ফার্নান্দোকে। যদিও শুরু আর শেষের সঙ্গে কোনো মিলই নেই। পরে সাদিরা সামারাবিক্রম (৪৮ বলে ৬১), কুশল মেন্ডিস (৩৬ বলে ৫৯) ও অধিনায়ক চারিথ আসালঙ্কার (২১ বলে ৪৪) ব্যাটে ভর করে রানের সৌধ গড়ে শ্রীলংকা।
পাওয়ার প্লেতে দারুণ করে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারে আভিস্কা আউট হওয়ার পর পঞ্চম ওভারে কামিন্দু মেন্ডিসকে ফেরান আরেক পেসার তাসকিন আহমেদ। এরপর ৬১ বলে ৯৬ রানের জুটিতে শ্রীলংকাকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন কুশল ও সামারাবিক্রমা। বিপজ্জনক হয়ে ওঠা কুশলকে আউট করে এই জুটি ভাঙেন রিশাদ হোসেন। তাতে অবশ্য রানের চাকা থামানো যায়নি। পরের জুটিতে ৩৩ বলে ৭৩ রান যোগ করেন সাদিরা ও আসালঙ্কা। এর মধ্যে ৪৪ রানই আসালঙ্কার। তিনি ৬ ছক্কায় সাজান ইনিংসটা। কুশল ৬ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ৫৯ এবং সাদিরা ৮ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৬১ রান করেন। ১৪ বলে ১৯ রান করে দলের বড় সংগ্রহে অবদান রাখেন কামিন্দু মেন্ডিসও।
বাংলাদেশের তিন পেসার ছিলেন ব্যয়বহুল। শরিফুল ৪ ওভারে ৪৭ রান, মুস্তাফিজুর রহমান ৪ ওভারে ৪২ রান ও তাসকিন আহমেদ ৪ ওভারে ৪০ রান দেন।
আজকের সাারদেশ/একে