আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
চাকরিপ্রত্যাশী ও হতাশাগ্রস্থ যুবকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় ৩০তম বিসিএস পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনকারী সুশান্ত পাল। তবে এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনপ্রিয় এ মুখ দুদকের মুখোমুখি হয়েছেন রাজস্ব ফাঁকি ও দুর্নীতির অভিযোগে।
জানা যায়, কক্সবাজারে কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট অফিসের সাবেক ডেপুটি কমিশনার সুশান্ত পালের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে উঠে আসা অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সুশান্ত পালকে অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সংস্থাটি।
দুদকের একজন উপ-সহকারী পরিচালককে সদস্য করে অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়েছে বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। তার সহকারী যাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে তারা হলেন- রাজস্ব-কর্মকর্তা সব্যসাচী শিকদার, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন, আনিসুল করিম, সৈয়দ আবু রাসেল, মো. আলাউদ্দিন ও তৌফিক আহমেদ।
সুশান্ত পাল ও তার এ ছয় সহযোগীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা কক্সবাজারের নামিদামি হোটেল-রেস্টুরেন্টের রাজস্ব রেয়াতের মাধ্যমে শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। একই সঙ্গে সরকারকে বছরে কয়েকশ কোটি টাকা রাজস্ব বঞ্চিত করেছেন।
এসব বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২০ সালে একটি অভিযান পরিচালনা করে দুদক। ওই অভিযানে হোটেল মালিকদের রাজস্ব ফাঁকির প্রমাণ পায় সংস্থাটি। এর ভিত্তিতে দুদকের গোয়েন্দা বিভাগ অভিযোগ অনুসন্ধানে নামে।
দুদকের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কক্সবাজারে চার শতাধিক হোটেল-রেস্টুরেন্ট রয়েছে। অন্তত ৩০টি হোটেল-রেস্টুরেন্ট ও জাহাজের রাজস্ব ফাঁকির আলামত খুঁজে পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। পরে এ বিষয়ে কমিশন থেকে একটি অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়।
দুদক প্রধান কার্যালয়ের তদন্তসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি দুদক কর্মকর্তাদের প্রায় পৌনে এক ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদে সুশান্ত পাল কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি বলেও জানায় অনুসন্ধানসংশ্লিষ্ট একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে সুশান্ত পাল গণমাধ্যমকে বলেন, এমন কোনো অভিযোগের বিষয়ে আমার জানা নেই। এটা অনেক আগের ঘটনা।’ দুদকের জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলেও বিষয়টি তিনি ‘জানেন না’ বলে জানান।
উল্লেখ্য, সুশান্ত এখন কুষ্টিয়া কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট কমিশনারেট অফিসের ডেপুটি কমিশনার হিসেবে কর্মরত আছেন।
আজকের সারাদেশ/একে