আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
চট্টগ্রামের হামজারবাগের মোমিনবাগ আবাসিক এলাকায় মালিক পক্ষের লেলিয়ে দেওয়া সন্ত্রাসীদের হামলায় মো. নয়ন চৌধুরী নামের এক ভাড়াটিয়া খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার রাতে হামলার শিকার হওয়া এই যুবক সোমবার (১১ মার্চ) সকালে নগরীর বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এই ঘটনায় ৭ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন ওই যুবকের স্ত্রী। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি মোহাম্মদ হোসেনকে গ্রেফতার করেছে।
যুবক খুনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ চাকমা। তিনি বলেন, নয়ন নামের এক যুবককে খুনের ঘটনায় এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিহতের স্ত্রী ৭ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। কি কারণে এই ঘটনা সেটি তাৎক্ষণিকভাবে বলতে পারেননি ওসি।তবে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে ভাড়া নিয়ে ঝামেলা থেকেই ভবন মালিক সন্ত্রাসী দিয়ে নয়নের ওপর হামলা চালিয়েছেন।
নিহতের ভাগ্নে মোহাম্মদ সুমন বলেন, ‘মোমিনবাগ আবাসিক এলাকার জে কে ম্যানশন নামের ওই বাসায় আমার তিন মামা থাকতেন। এর মধ্যে আমার মেজ মামার সঙ্গে জমিদারের ভাড়া নিয়ে কিছু সমস্যা ছিল। কিন্তু সেটি নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে শুক্রবার রাত ১১টায় আমার ছোট মামা নয়নকে তলপেটে লাথি দেন সন্ত্রাসীরা। তলপেটে লাথি দেওয়ায় আমার মামার মুত্রতলী বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালে নিয়ে যাই। রোববার রাতে তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপরও মামাকে বাঁচানো গেল না। সোমবার ৭টা ৪৫মিনিটে তিনি মারা যান।
মামাকে হত্যার বিচার চেয়ে সুমন আরও বলেন, ‘আমার মামার চার বছরের একটা বাচ্চা আছে। মামী ৮ মাসের অন্তঃসত্তা। মামার মৃত্যুতে পুরো পরিবারটি অসহায় হয়ে পড়েছে। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই।’
ভবন মালিকের নাম জানা যায়নি। তবে
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শরীফ নামের স্থানীয় এক বখাটের নেতৃত্বেই এই হামলা চালানো হয়। শরীফ স্থানীয় কাউন্সিলর মোবারক আলীর অনুসারী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। তবে তাঁদের কারো সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
আজকের সারাদেশ/একে