আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
দুই বছর আগে নিষিদ্ধ গোষ্ঠি কুকি-চিন ব্যাংক লুটের ঘোষণা দিলেও, ব্যাংকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ছিলনা তেমন সতর্কতা। ফলে, পুলিশের অস্ত্রলুট ও কর্মকর্তাদের জিম্মি করে ব্যাংক লুটের ঘটনা হচ্ছে বান্দরবানের দুর্গম এলাকায়। যদিও পুলিশের দাবি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
২০২২ সালে ফেসবুকে ব্যাংক লুটের ঘোষণা দেয় কুকিচিন। এরপর বান্দরবানের রুমা ও থানচির বিভিন্ন ব্যাংকে বাড়ানো হয় নিরাপত্তা। তবে বছর খানেক পরেই সে নিরাপত্তা কিছুটা শিথিল হয়ে পড়ে। এ সুযোগে রুমা ও থানচিতে ১৭ ঘণ্টার মধ্যে দুটি ব্যাংকের তিনটি শাখায় হানা দেয় দুর্বৃত্তরা।
মঙ্গলবার রাতে তারাবি নামাজের সময় বান্দরবানের রুমা শাখা সোনালী ব্যাংক ও আশেপাশের এলাকা ঘিরে ফেলে শতাধিক সশস্ত্র দুর্বৃত্ত। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মসজিদ থেকে ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে ধরে নিয়ে ব্যাংকের ভেতরে মারধর করে তারা। পরে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এ সময় ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ১০ পুলিশ ও ৪ আনসার সদস্যকে নিরস্ত্র করে ৮টি চাইনিজ অটোমেটিক রাইফেল, ২টি এসএমজি, ৪টি শটগান ও ৪১৫ রাউন্ড গুলি ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ সময় ২ পুলিশ সদস্য আহত হন।
মঙ্গলবারের এ ঘটনার ১৬ ঘণ্টা পর থানচিতে আরও দুটি ব্যাংকে ডাকাতি হয়। থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মামুন জানান, বুধবার বেলা ১টার পর থানচির সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, সোনালী ব্যাংক থেকে ১৫ লাখ টাকার বেশি লুট হয়েছে। তবে কৃষি ব্যাংক থেকে লুট হওয়া টাকার পরিমাণ প্রায় আড়াই লাখ। এ ঘটনার পর বান্দরবানে বিভিন্ন উপজেলায় সোনালী ব্যাংকের ৬টি শাখা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আজকের সারাদেশ/একে