আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
রাজধানীর দারুস সালাম থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় আলোচিত ইসলামী বক্তা মো. আমির হামজাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।
চার্জশিটে বলা হয়েছে, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামকে শক্তিশালী করার জন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় পাজেরো জিপগাড়ি নিয়ে ঘুরতেন আমির হামজা। তিনি জননিরাপত্তা বিঘ্নিত ও জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি এবং ইসলামী শরিয়াহ আইন প্রতিষ্ঠায় কাজ করতেন।
এতে আরও বলা হয়েছে, আমির হামজা ওয়াজ মাহফিলে নিরীহ নাগরিকদের রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানি দিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন। এ ছাড়াও তিনি জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে এবং জিহাদে অংশগ্রহণে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছেন।
২০২০ সালের ২৪ অক্টোবর কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের উপপরিদর্শক মো. মোকলেছুর রহমান বাদী হয়ে রাজধানীর দারুস সালাম থানায় মামলাটি করেন। তদন্ত শেষে গত ২৮ মার্চ তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কাউন্টার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের পরিদর্শক কাজী মিজানুর রহমান আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আসামি মো. আসাদুজ্জামান আসাদ, তাসনিমুল করিম রিজভী ও আব্দুল্লাহ আল আমিনের কোনো সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় মামলা থেকে তাদের অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে।
আমির হামজা ছাড়া চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন মেহেদী হাসান, অলিউন নবী সবুজ, মো. কাদের কিবরিয়া সাগর ও এম যুবায়ের আহমেদ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক কাজী মিজানুর রহমান বলেন, আদালতে সাক্ষীরা মামলার অভিযোগ প্রমাণ করবেন। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। তিনজনকে মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে।
আমির হামজার আইনজীবী এসএম মুনতাসীর মামুন বলেন, সঠিক তদন্ত হলে এ মামলায় আমির হামজা শুধু আসামিই হতেন না, তার অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করব। অব্যাহতি না পেলে আইনি লড়াইয়ে তাকে নির্দোষ প্রমাণে চেষ্টা করব।
২০২০ সালের অক্টোবরে রাজধানীর গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের পাশে রাস্তায় সমবেত হয়ে গোপন বৈঠকের প্রস্তুতি নিচ্ছিল কয়েকজন। খবর পেয়ে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হন। এ সময় তারা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করার পর সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়।