সকাল ১০:৪৩, রবিবার, ২৬শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বয়কটে কমেছে বিক্রি, ক্রেতার অভাবে তরমুজের জায়গা হচ্ছে ময়লার ভাগাড়ে

আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
রোজার শুরুতে তরমুজের দাম নিয়ে নানান আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছিল। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় তরমুজ বয়কটের ডাক। অনেকেই এই বয়কটে সাড়া দিয়ে তরমুজ কেনা থেকে বিরত থাকেন। আস্তে আস্তে তরমুজের দাম কমতে শুরু করে। কিন্তু দাম কমলেও ক্রেতা বাড়েনি।

এতে চরম বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে ক্রেতা না পেয়ে পচে যাচ্ছে তরমুজ। অথচ রমজানের শুরুতে অনেক লাভ হলেও এখন তার উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে। লাভের আশায় থেকে এখন তরমুজ ব্যবসায়ীদের গুনতে হচ্ছে লোকসান। পচে যাওয়া তরমুজের জায়গা হচ্ছে নদী-নালা, খাল, সড়ক ও ময়লার ভাগাড়ে।

তরমুজের আড়তের আশপাশের সড়কে, ডাস্টবিনে, নদী-নালায় পড়ে থাকতে দেখা যায় বিপুল পরিমাণ পচা তরমুজ। এ পরিস্থিতিতে লোকসানের আতঙ্কে অনেক পাইকার তরমুজ কেনাবেচা বন্ধ করে দিয়েছেন। শুরুতে কৃষকরা ভালো দাম পেলেও এখন উৎপাদন খরচও তুলতে পারছেন না। এখন পাইকাররা তরমুজ কেনা বন্ধ করায় কৃষকদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।

চট্টগ্রামে তরমুজের দাম পাইকারিতে কমলেও বিক্রি হচ্ছে না। ফলে অনেক ব্যবসায়ী পচে যাওয়া তরমুজকে ময়লার ভাগাড়ে ফেলে দিতে বাধ্য হন। সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারিতে অর্ধেকে নেমে এসেছে তরমুজের দাম। এক সপ্তাহ আগে বড় সাইজের তরমুজ পাইকারিতে আড়াই’শ টাকা বিক্রি হতো, সেটি এখন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকায়। আর মাঝারি সাইজের যেটি আগে ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হতো, সেটি এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। ছোট সাইজের তরমুজ পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যেই।

চট্টগ্রামের কদমতলী ফলমন্ডির ব্যবসায়ীরা জানান, বৃষ্টি হলেই তরমুজ নষ্ট হয়ে যায়। বৃষ্টির পানি পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তরমুজ ফেটে যায়। আবার খেতে থাকা তরমুজে শিলাবৃষ্টি হলে সব নষ্ট হয়ে যায়। ফলে খামারিরা তরমুজ আগাম তুলে বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছেন। রোজা উপলক্ষে তরমুজের অধিকতর চাহিদা তো আছেই। ফলে খেত খামারিরা যে হারে তরমুজ বাজারে বিক্রি করছেন সেই হারে বাজার থেকে তরমুজ খুচরায় বিক্রি হচ্ছে না। খুচরা ব্যবসায়ীরা বিক্রি করতে না পারায় আড়তেই পড়ে থাকছে তরমুজের স্তূপ। দীর্ঘদিন আড়তে থাকায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এসব তরমুজ। পুরোপুরি পচে যাওয়া তরমুজ ফেলে দিতে হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে নদী-নালা ও ময়লার ভাগাড়কেই বেছে নিতে হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের ফিরিঙ্গি বাজার এলাকায় রাস্তার পাশে ফেলা তরমুজ খাচ্ছে মহিষ- এমন দৃশ্য দেখা যায়। আশপাশে পথচারীরা মন্তব্য করেন, সাধারণ ক্রেতারা বয়কট করায় তরমুজ মহিষকে খাওয়াতে হচ্ছে। এটা তরমুজ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে বড় প্রতিবাদ হয়েছে।

চট্টগ্রামের ফলমন্ডির তরমুজ ব্যবসায়ী ‘বিসমিল্লাহ ফল ভাণ্ডারের’ মালিক মনির হোসেন বলেন, এক সপ্তাহ আগে ১০০ পিস তরমুজ ২২ থেকে ২৫ হাজার টাকা বিক্রি হতো পাইকারিতে। এখন সেগুলো বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকায়। তরমুজের দাম প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। এরপরও আগের মতো বিক্রি নেই।

‘‌ফাতেমা ট্রেডার্সের’ মালিক মো. শাহীন আলম খান বলেন, আড়তে পর্যাপ্ত তরমুজ আছে। বিক্রির পরিমাণ খুবই কম। সপ্তাহ খানেক আগেও যে পরিমাণ তরমুজ বিক্রি হতো এখন সে হিসেবে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে না। আড়তে থাকতে থাকতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তরমুজ। ফলে ফেলে দিতে হচ্ছে।

চট্টগ্রামের ফলমণ্ডির ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলী হোসেন বলেন, বাজারে তরমুজের চাহিদা কমে গেছে। অপর দিকে প্রচুর তরমুজ আড়তে আসছে। ফলে নষ্ট হচ্ছে তরমুজ।

আজকের সারাদেশ/এমএইচ

সর্বশেষ সংবাদ

সৈকত ও প্রবাল এক্সপ্রেসের প্রথম দিনে আয় প্রায় ৫ লাখ

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহতরা পাবেন আজীবন চিকিৎসা ভাতা

বিএনপির ৩১ দফা কেবল দেশ ও দেশের মানুষের জন্য

কলকাতায় বাংলাদেশি পর্যটকে ভাটা, ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত

বোয়ালখালী পৌসভা নানা অনিয়মে গিলে খেয়েছে ‘সিন্ডিকেট’

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে এখনো দাপুটে আওয়ামী লীগের শাহ আমানত ও জান্নাত ট্রেডিং

আ.লীগের ইন্ধনে শহীদ তানভীরের ভাইকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ

আইটিডি ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে চবির সাংবাদিকতা বিভাগের ১৭ গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন

চবিতে ‘ক্যারিয়ার ইনসাইটস ও লাইফ লেসন’ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

চবির টাঙ্গাইল স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত