আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
কেএনএফ সশস্ত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান শুরু হয়ে গেছে এবং ইতিমধ্যে ২টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত যৌথ বাহিনীর অভিযান চলবে বলে জানান তিনি।
রোববার (৭ এপ্রিল) বান্দরবানে মতবিনিময় শেষে বেলা সাড়ে বারোটায় প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন সেনা প্রধান।
এর আগে সকালে হেলিকপ্টারে তিনি বান্দরবান পৌঁছান। পরে তিনি বান্দরবান ৬৯ সেনা রিজিয়নে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় করেন।
এদিকে কেএনএফের তাণ্ডবের ঘটনায় রুমা এবং থানচিতে আজও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আতঙ্ক কাটেনি উপজেলাবাসীর। অপরদিকে তাণ্ডবের ঘটনায় মামলার সংখ্যা বেড়ে দাড়ালো ৮টি। অনেকেই আতঙ্কে এলাকা ছাড়ছেন। বান্দরবানে সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শন করতে আসেন সেনা প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
সেনা প্রধান বলেন, শান্তি কমিটির সঙ্গে কেএনএফ’র স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার শান্তি আলোচনা চলছিল। দুটি মুখোমুখি সংলাপ বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছে, তৃতীয় বৈঠকের আগেই তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটালো। বমদের সানডে আয়োজনে ৩১ মার্চ রুমায় বেতেলপাড়াসহ সবগুলো গির্জায় সেনাবাহিনী কেক পাঠিয়েছে উৎসব আয়োজনে সম্পৃক্ত ছিলো। কিন্তু ২ এপ্রিল তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটালো, মনের ভিতরে কি আছে সেটিতো জানা মুসকিল, তাই না!
তবে সরকার তাদের বিশ্বাস করেছিল, কিন্তু কেএনএফ বিশ্বাস রাখেনি। তিনি আরও বলেন, কম্বাইন্ড অপারেশন এবং গোয়েন্দা কার্যক্রমও চলছে। তাই অপারেশনের সবগুলো দৃশ্যমান নয়, কিছু কার্যক্রম অদৃশ্যে চলবে, যা সাধারণ মানুষ দেখবেনা, কিন্তু সুফল ভোগ করবে। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আজকের সারাদেশ/ইই/এমএইচ