রাত ১১:১৩, বৃহস্পতিবার, ২২শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গরু-ছাগলের পর ব্রয়লার মুরগীও এখন নিম্ন-মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে

আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
গরু-ছাগলের মাংসের দাম বহুদিন ধরেই আকাশচুম্বি। তাই মাংসের বদলে ব্রয়লার মুরগিই ছিল নিম্নমধ্যবিত্ত মানুষের ভরসা। তিন দিনের ব্যবধানে কেজিতে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে অন্তত ৬০ টাকা। যার ফলে এই মাংসও নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে গরিব মানুষের। মধ্যবিত্তরাও এখন চড়া দামে ব্রয়লার কিনতে হতাশায় ভুগছেন।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) নগরের বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ব্রয়লারসহ অন্যান্য জাতের মুরগির দামে ঊর্ধ্বগতি। মাংসের অস্বাভাবিক দামের কারণে ক্ষুব্ধ সাধারণ ভোক্তারা। বৃহস্পতিবার যেখানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছিল ২২০ টাকায়, সেই মুরগিই আজ বিক্রি হয় ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়।

ক্রেতারা বলছেন, ঈদকে সামনে রেখে চাহিদা বাড়ায় অতি মুনাফার জন্য পরিকল্পিতভাবে দাম বাড়িয়েছেন খামারিরা। তবে এই অভিযোগ সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন মুরগি ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, গত মাসে খামারিরা বাচ্চা কম পেয়েছেন, যে কারণে বাজারে এখন মুরগির সরবরাহ কিছুটা কমেছে। তাই এখন বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে।

নগরের বিভিন্ন কাঁচাবাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজারে সোনালি মুরগি, দেশি মুরগির দামও বাড়ছে। কেজিতে ২০-৩০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৭০-৩৮০ টাকায়। অন্যদিকে দেশি মুরগির দাম বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৪০-৬৫০ টাকায়।

মুরগি ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি জমির হোসেন বলেন, হ্যাচারি মালিকরা বাচ্চা ফোটানো কমিয়ে দিয়েছেন। যে কারণে চাহিদামতো বাচ্চা পাননি খামারিরা। তাই মুরগির সরবরাহ কমেছে। ঈদের সময় এমনিতে বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়ে। এবার বেশি বেড়ে গেল। এখন খামার পর্যায়েই মুরগির দাম বেড়েছে। আমরা খামারির কাছ থেকে ২৩০-২৩৫ টাকায় কিনছি। ২৪৫-২৫০ টাকায় আমরা বিক্রি করছি। ওই মুরগিই দোকানদাররা বিক্রি করছেন ২৭০-২৭৫ টাকায়।

নগরের বহদ্দারহাট বাজারে ব্রয়লার মুরগি কিনতে আসা আব্দুল মালেক নামের এক রিকশাচালক বলেন, ঈদ উপলক্ষে বাড়তি বাড়া ছিল। কিছু টাকা বেশি পেয়েছি। ছেলে-মেয়েরা অনেকদিন মাংস খেতে পারছে না। তাই বাজারে ব্রয়লার মুরগি কিনতে এসেছিলাম। কিন্তু দাম বেড়ে যাওয়া এখন তাও কেনা সম্ভব হয়নি।

রহমতুল্লাহ নামের এক দিনমজুর বলেন, গত কোরবানি ঈদে অন্যের দেওয়া মাংস খেয়েছিলাম। এরপর থেকে আর স্বাদ নিতে পারিনি। পরিবারের আবদারে আজ বাজারে ব্রয়লার মুরগি কিনতে এসেছিলাম। কিন্তু বেশি দামের কারণে কেনা হলো না।

আজকের সারাদেশ/বিই/এমএইচ