রাত ১২:৫১, মঙ্গলবার, ২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোয়াখালীর চার গ্রামে ঈদের আগেই উদযাপন হচ্ছে ঈদ

আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:

বাংলাদেশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না গেলেও চাঁদপুর, শরীয়তপুর ও চট্টগ্রাম জেলার প্রায় ৫০টি গ্রামে ঈদ উদযাপন করা হচ্ছে আজ। এই রীতি বহুকাল ধরে চলে আসছে এসব অঞ্চলে। শুধু চাঁদপুর-চট্টগ্রাম নয় সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ ও সদর উপজেলার চার গ্রামের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ঈদ উদযাপন করছেন। প্রায় ১০০ বছর ধরে বাংলাদেশের একদিন আগেই তারাবির নামাজ পড়ে রোজা শুরু করেন তারা। এ বছরও এসব গ্রামের মানুষ একদিন আগেই পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন বলে জানিয়েছেন।

আজ বুধবার (১০ এপ্রিল) দুই উপজেলার ৯টি মসজিদে ঈদের নামাজ আদায়ের মাধ্যমে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন তারা।

গ্রামগুলো হলো- নোয়াখালী পৌরসভার লক্ষ্মীনারায়ণপুর ও হরিণারায়নপুর গ্রাম, বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বসন্তবাগ ও ফাজিলপুর গ্রাম।

যে মসজিদগুলোতে নামাজ আদায় করা হবে: বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বসন্তবাগ গ্রামের সিনিয়র মাদ্রাসা জামে মসজিদ, বসন্তবাগ পোদ্দার বাড়ি জামে মসজিদ, বসন্তবাগ গ্রামের নগর বাড়ির দরজা জামে মসজিদ, বসন্তবাগ গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির দরজা জামে মসজিদ, পশ্চিম বসন্তবাগ গ্রামের মুন্সি বাড়ির দরজা জামে মসজিদ, ফাজিলপুর গ্রামের দায়রা বাড়ির জামে মসজিদ, বেগমগঞ্জের জিরতলী ইউনিয়নের ফাজিলপুর গ্রামের জামে মসজিদ ও নোয়াখালী পৌরসভা লক্ষীনারায়নপুর গ্রামের দায়রা বাড়ি কাছারীঘর, হরিণারায়নপুর রশিদিয়া রহিমিয়া দরবার শরিফে ঈদের নামাজ আদায় করা হবে।

জানা যায়, বড় পীর আবু মুহম্মদ মহিউদ্দীন সৈয়দ আবদুল কাদির জিলানী (রঃ) এর মতাদর্শে তৈরি হয় কাদেরিয়া তরিকা। কাদেরিয়া তরিকার অনুসারী লক্ষ্মীনারায়ণপুর, হরিণারায়নপুর, বসন্তবাগ ও ফাজিলপুর গ্রামের বাসিন্দারা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে প্রতি বছর একদিন আগে রোজা রাখে। এছাড়াও ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করে থাকে।

কাদেরিয়া তরিকার অনুসারী নোয়াখালী পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. সুমন বলেন, আমার বাড়িতে দরবার শরীফ। প্রতিবছর আমরা তারাবির নামাজ সৌদির সঙ্গে মিল রেখে আদায় করি। সৌদির সঙ্গে ঈদ উদযাপন করি। পৃথিবীতে চাঁদ একটাই। সুতরাং পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে চাঁদ দেখা গেলেই আমরা তারাবি, রোজা ও ঈদ পালন করি।

রশিদিয়া রহিমিয়া দরবার শরিফের মুসল্লি আবু তাহের বলেন, আমার দাদারা সৌদির সঙ্গে মিল রেখে পালন করেছেন। আমরাও সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে তারাবির নামাজ আদায় করেছি। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদগাহ যাবো।এটাই আমাদের আনন্দ। আমরা খুশি। একদিন আগেই ঈদ করবো ইনশাআল্লাহ।

রশিদিয়া রহিমিয়া দরবার শরিফের ঈদের জামায়াতের ইমাম হাফেজ মোবারক হোসেন রাকিব বলেন, সর্বপ্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে রোজা রাখি এবং ঈদ উদযাপন করি। বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে চাঁদ দেখা গেলেই আমরা রোজা ও ঈদুল ফিতর পালন করছি। আমাদের পূর্বপুরুষদের থেকে আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখি। প্রায় ১০০ বছরের বেশি হবে। সৌদি আরবে পবিত্র ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখার খবর পেয়েছি। আমরা নিজেরাও খোঁজখবর নিয়ে নিশ্চিত হয়েছি।

আজকের সারাদেশ/একে

সর্বশেষ সংবাদ

কবিতা: স্বাধীনতা।

ভূমি, কার্গো দখল ও ঘর ভাংচুরের ঘটনায় কবিরহাট থানায় মামলা

চবিতে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের ‘মুক্ত সংলাপ’ প্রত্যাখান শিক্ষার্থীদের, ষড়যন্ত্র না করতে দিল হুঁশিয়ারি

১৫ বছর পর মাতৃভূমিতে যুবদল নেতা হাসান নূরী

চবি উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক শামীম অথবা ড. আতিয়ারকে চান শিক্ষার্থীরা

ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হওয়ার দায় নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন পলক

কোপা আমেরিকার সেরা একাদশে ৫ জনই আর্জেন্টিনার, ব্রাজিলের এক

গুলিবিদ্ধ কিশোরকে রিকশায় তুলতে গিয়ে দেখলেন নিজেরই সন্তান

নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করবে চবি কর্তৃপক্ষ

১২ দিন পর স্বল্প পরিসরে ট্রেন সার্ভিস চালু