আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
আগামী ১৯ অথবা ২০ এপ্রিল দুবাই পৌঁছাবে সোমালিয়ায় ৩১ দিন জলদস্যুর কবলে থাকা এমভি আবদুল্লাহ। এরপর নাবিকদের দুইটি অপশন থাকছে। প্রথমত তারা ফ্লাইটে, দ্বিতীয়ত ওই জাহাজেই দেশে ফিরতে পারবেন।
রোববার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে বারিক বিল্ডিং মোড়ের কেএসআরএম ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমডি শাহরিয়ার জাহান রাহাত।
তিনি বলেন, জাহান মণি জাহাজ জলদস্যুর কবলে পড়ার ১৪ বছর পর দুর্ভাগ্যবশত একই ঘটনা ঘটল। গত ১২ মার্চ এ জাহাজ আক্রমণের শিকার হয়েছিল অস্ত্রের মুখে। ৩১ দিন পর ফাইনালি জলদস্যুরা জাহাজটি ছেড়ে যায়। সাধারণত দস্যুরা মালিকপক্ষকে টার্গেট করে বেশি স্বার্থ হাসিল করতে চায়। তাই আমরা তৃতীয়পক্ষের মাধ্যমে জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে আলোচনা শুরু করি।
তিনি বলেন, আমাদের জাহাজ হাইরিস্ক এরিয়ার বাইরে ছিল। ২০০ নটিক্যাল মাইল রিস্কি। আমরা ৬০০ নাটিক্যাল মাইলে ছিলাম। তাই আর্ম গার্ড নিইনি আমরা।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ জানাতে চাই। বিদেশি যুদ্ধজাহাজ ফোর্সফুলি জাহাজটি উদ্ধারে যেতে চেয়েছিল। আমাদের সরকার কুইক রেসপন্স করেছে। সাংবাদিকরা সহযোগিতা করেছেন। আশা করি ১৯-২০ এপ্রিল সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাবে জাহাজটি । এরপর নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মেহেরুল করিম বলেন, জাহান মণির সময় আমাদের জ্ঞানের অভাব ছিল। তখন উদ্ধারে সময় বেশি লেগেছিল। এবার জাহাজ দখলে নেওয়ার পর আমরা জাহাজের লোকেশন ট্রেক করতে থাকি। যোগাযোগ শুরুর পর প্রতিদিনই কথা হচ্ছিল। নাবিকরা কেমন আছে, কত তাড়াতাড়ি দস্যুরা জাহাজ ছেড়ে যাবে ইত্যাদি কথা হতো। দুই দিন আগে আমাদের দাবি ছিল, তাই প্রত্যেক নাবিকের ভিডিও নিয়েছি। মুক্তিপণের প্রতিটি কাজ আইনগতভাবে করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে করা হয়েছে৷ কত ডলার সে বিষয়টি আমরা নানা কারণে বলতে পারছি না। ইউএসএ, ইউকে, সোমালিয়া, কেনিয়ার নিয়ম মানতে হয়েছে। আজ ভোর তিনটায় কথা হয় ক্যাপ্টেনের সঙ্গে। জলদস্যুরা ৬৫ জন ছিল। বোটে করে তারা চলে যায়। নাবিকদের অপশন আছে ফ্লাইটে আসা কিংবা জাহাজে আসা। জাহান মণি ১০০ দিন ছিল। নাবিকদের ভিসা সমস্যা ছিল। আবদুল্লাহ জাহাজটি দুবাই থেকে চট্টগ্রাম নিয়ে আসব।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন কেএসআএমের ডিএমডি সরোয়ার জাহান, পরিচালক করিম উদ্দিন, মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা।