আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
ফিলিস্তিনে অসংখ্যবার বিধ্বস্ত হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। সেইসব হামলায় হাজার হাজার নারী-শিশু নির্বিচারে নিহত হয়েছে। বিশ্ব মানবতা তখন চুপ ছিলো। চুপ ছিলো জাতিসংঘ। কিন্তু ইরানের এক হামলায় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ডাক দিয়েছে পরিষদটি।
রোববার জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ইসরায়েলের অনুরোধে কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ভেনেসা ফ্রাজিয়ের বলেছেন, এই হামলা বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য বিশাল হুমকি তৈরি করেছে।
নিরাপত্তা পরিষদে পাঠানো ইসরায়েলের চিঠিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বিধিবিধান লঙ্ঘন করে বহুদিন ধরেই অস্থিরতা তৈরির কলকাঠি নাড়ছে ইরান। দেশটির ইসরায়েলের সার্বভৌমত্ব, আন্তর্জাতিক আইনকানুন এবং নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবগুলো মানছে না।
ইরানের ইসলামিক রেভ্যুলশনারি গার্ডস কোরকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে তালিকাভুক্ত করার জন্য নিরাপত্তা পরিষদে অনুরোধ করেছে ইসরায়েল।
এর আগে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে কয়েক ডজন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে তারা। ‘ট্রু প্রোমিজ’ নামে অভিযানের আওতায় এসব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। ইসরায়েলের অপরাধের শাস্তি দিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও ইরানের এই বাহিনী উল্লেখ করেছে।
১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ১৩ জনকে হত্যা করে ইসরায়েল। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) ৭ জন সদস্য রয়েছেন। তাদের মধ্যে আইআরজিসির বিদেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী ইউনিট কুদস ফোর্সের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদিও রয়েছেন। তিনি সিরিয়া ও লেবাননে কুদস ফোর্সের কার্যক্রম পরিচালনার নেতৃত্বে ছিলেন। এই হত্যাকাণ্ডের বদলা নিতে ইসরায়েলে হামলা চালানো হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিল ইরান।