আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
বৈশ্বিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু এখন ইরান-ইসরায়েল সংঘাত। সবার চিন্তা কি হতে যাচ্ছে এই সংঘাতের পরিণতি। ইরান হামলার পরও হুমকি দিয়ে যাচ্ছে ইরান অপরদিকে ইসরায়েল কড়া জবাবের অপেক্ষায় রয়েছে৷
ইরান দীর্ঘদিন ধরেই আর একটা হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে তারা যদি আক্রান্ত হয় তাহলে তারা হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দেবে। কৌশলগতভাবে অতি গুরুত্বপূর্ণ এই সমুদ্রপথটি যদি ইরান মাইন, ড্রোন ও ফাস্ট অ্যাটাক ক্র্যাফট দিয়ে বন্ধ করে দেয়, তাহলে বিশ্ব বাণিজ্যের অন্যতম ব্যস্ত রুটটি অচল হয়ে পড়বে এবং বিশ্বব্যাপী তেল সরবরাহের এক-চতুর্থাংশ বন্ধ হয়ে যাবে। অবধারিতভাবে সেটা হবে একটা দুঃস্বপ্নের মতো পরিস্থিতি।
অপরদিকে ইরানের হামলার জবাব দেবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহুর যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। সংযমের জন্য আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও ইরানের হামলার পাল্টা জবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ হারজি হালেভি বলেছেন, তেল আবিব এর জবাব দেবে। তবে তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, সে সম্পর্কে তিনি কোনো বিবরণ দেননি। সোমবার ইরানের হামলায় স্বল্প ক্ষতিগ্রস্ত নোভাটিম বিমান ঘাঁটিতে গিয়েছিলেন হালেভি। সেখানেই তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইসরায়েলের ভূখণ্ডে এত বেশি সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপের জবাব দেওয়া হবে। জরুরি অবস্থা তুলে নিলেও, উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেছে ইসরায়েল।
তবে ইসরায়েল জবাব দিতে চাইলে, ইরানও বসে থাকবে না বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ। ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলের সন্দেহভাজন হামলার প্রতিশোধ নিতে শনিবার রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে কয়েকশ’ ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান।
আজকের সারাদেশ/এমএইচ