আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রতিষ্ঠার ৫৮ বছরে সমাবর্তন হয়েছে মাত্র চারবার। সর্বশেষ ২০১৬ সালে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। সাবেক উপাচার্য প্রফেসর শিরীণ আখতার ছয়বার আশ্বাস দিয়েও সমাবর্তন করতে পারেননি। অবশেষে আবার এলো সুখবর। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের ৮ তারিখ চবির পঞ্চম সমাবর্তনের জন্য উপাচার্য প্রফেসর ড. আবু তাহেরকে নির্দেশনা দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে বারোটায় বঙ্গবভনে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এর সঙ্গে চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় এবং সৌজন্য সাক্ষাত করেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা বিষয়ে আলোচনা করেন রাষ্ট্রপতি।
এসময় চবি উপাচার্য রাষ্ট্রপতিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম সমাবর্তন অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তাব করলে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য এতে সম্মতি প্রকাশ করেন এবং চলতি বছরের ৮ ডিসেম্বর পঞ্চম সমাবর্তনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণের জন্য উপাচার্যকে নির্দেশনা প্রদান করেন। তাছাড়া উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমের সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করলে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরা যাতে জাতীয় ও আন্তজার্তিক পরিমণ্ডলে নিজেদেরকে দক্ষ, যোগ্য ও আধুনিক বিজ্ঞান মনষ্ক মানবসম্পদ হিসেবে তৈরি হয়ে গড়ে ওঠতে পারে সে লক্ষ্যে যুপোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়ন করার পরামর্শ প্রদান করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীরা যাতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারে সে লক্ষ্যে যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়ন করতে হবে। রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, উচ্চশিক্ষা বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া খুবই জরুরি।
তিনি আশা করেন, উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আনুষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম প্রসারে কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। শিক্ষার্থীরা যাতে দেশের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, সংস্কৃতি ও ইতিহাস-ঐতিহ্যসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারে সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার কথাও বলেন রাষ্ট্র প্রধান।
আজকের সারাদেশ/ইই/এমএইচ