ভোর ৫:৩২, শনিবার, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ চট্টগ্রামের মানুষ, বাড়ছে জ্বর-ডায়রিয়া

আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:

সকালে এক চিলতে বৃষ্টি যেন স্বস্তি দিয়েছিলো চট্টগ্রাম নগরবাসীকে। বেলা বাড়তেই তেজ বাড়তে থাকে সূর্যের। তীব্র গরমে হাসফাস অবস্থা। প্রচণ্ড তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। শুধু চট্টগ্রাম নয় পুরো দেশের চিত্রই একই। এমন তাপদাহের কারণে জ্বর, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রকম অসুখে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। দেখা দিয়েছে হিটস্ট্রোকও। ভ্যাপসা গরমে শরীরের তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকিও বেড়ে যাচ্ছে।

হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা পেতেও দেরী হচ্ছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি দেওয়া হচ্ছে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত রোগী ও ঝুঁকিতে থাকা রোগীদের। কিন্তু যথাসময়ে চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা অভাবে রোগী অবস্থার অবনতি হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা জানান, শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ থেকে ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট অতিক্রম করলেও সেটিকে ‘ভাইরাল ফিভার’ বলে মনে করে প্যারাসিটামল খাচ্ছেন রোগীরা। তবে হিটস্ট্রোকের জ্বরে ঘাম থাকবে না। সাধারণ জ্বর ৬ ঘণ্টা পর কমে যাবে, তবে হিটস্ট্রোকের ক্ষেত্রে সেটি হবে না। তাই জ্বরের অবস্থা দেখে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।

জানা গেছে, হিটস্ট্রোকের আগে অপেক্ষাকৃত কম মারাত্মক হিট ক্র্যাম্প অথবা হিট এক্সহসশন হতে পারে। হিট ক্র্যাম্পে শরীরের মাংসপেশিতে ব্যথা হয়, শরীর দুর্বল লাগে এবং প্রচণ্ড পিপাসা পায়। এর পরের ধাপে হিট এক্সহসশনে দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস, মাথাব্যথা, ঝিমঝিম করা, বমিভাব, অসংলগ্ন আচরণ দেখা দেয়। এই দুই ক্ষেত্রেই শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ ঠিক থাকে এবং শরীর অত্যন্ত ঘামতে থাকে। এই অবস্থায় দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এই সময় শরীরের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে যাবে। ঘাম বন্ধ হয়ে যাবে, ত্বক শুষ্ক ও লালচে হয়ে যাবে, নিশ্বাস দ্রুত হবে। নাড়ির স্পন্দন ক্ষীণ ও দ্রুত হবে, রক্তচাপ কমে যাবে, খিঁচুনি, মাথা ঝিমঝিম করা, অস্বাভাবিক আচরণ, হ্যালুসিনেশন, অসংলগ্নতাসহ প্রসাবের পরিমাণ কমে যাবে। রোগী শকে চলে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যাবে।

এই বিষয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেলের মেডিসিন বহির্বিভাগের রেসিডেন্ট ফিজিশিয়ান (আরপি) ডা. মো. শাহেদ উদ্দিন বলেন, সারাদেশের মত চট্টগ্রামেও তীব্র তাপদাহে দিশেহারা মানুষ। জ্বর, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। হাসপাতালে বাড়ছে ভীড়। এর মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেলের মেডিসিন বহির্বিভাগে জ্বরের রোগী বাড়ছে। কিন্তু সেই জ্বরের রোগী ‘ভাইরাল ফিভার’ ভেবে বাড়িতে কালক্ষেপণ করে হাসপাতালে আসছেন।

এদিকে পতেঙ্গা প্রধান আবহাওয়া কার্যায়লয়ের পূর্বাভাস কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘বুধবার (১৭ এপ্রিল) চট্টগ্রামের তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। তবে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।’

আজকের সারাদেশ/ইই/এমএইচ

সর্বশেষ সংবাদ

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ চবি, রাতের মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ

কত টাকা পেল কোপা ও ইউরো চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা-স্পেন?

ঢাবিতে শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে আহত ১৮২, মেডিকেলেও হামলা

চবিতে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর দফায় দফায় চলছে ছাত্রলীগের হামলা

‘যৌতুক’ হিসেবে হবু জামাইকে বিসিএসের প্রশ্ন দিয়েছিলেন পিএসসি সদস্য

শখের বসে ৩০ বছর ধরে কাচের বাল্ব চিবিয়ে খান রাজশাহীর মুক্তার

নাটোরে ট্রেন থেকে ছিটকে পড়া কয়েক কেজি গাঁজা নিয়ে মানুষের কাড়াকাড়ি

নির্বাচনী সমাবেশে প্রকাশ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে গুলি

স্বঘোষিত মেধাবীরা কি বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগের পার্থক্য বুঝে না: ছাত্রলীগ সভাপতি

আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করলে পরিণাম ভালো হবে না: ছাত্রলীগ সেক্রেটারি