আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
বিয়ের দাবিতে ঢাকা থেকে ভোলার চরফ্যাশনে গিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে বসেছেন ইডেন মহিলা কলেজের সাবেক ছাত্রী সাদিয়া জান্নাত। মেয়েটির দাবি, সরকারি চাকরি পেয়ে আত্মগোপনে রয়েছে তার প্রেমিক মিজানুর রহমান।
শনিবার সাদিয়া জানান, দেড় বছর আগে মিজানুর রহমান তৈয়বের সঙ্গে একটি চাকরির পরীক্ষায় পরিচয় হয়। সেই পরিচয়রে জের ধরেই তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। চাকরি হলে মিজান তাকে বিয়ে করবে এমন আশ্বাসে তাদের সম্পর্ক আরও গভীর হয়।
তিনি জানান, নিজের আবেগ অনুভূতি ও ভালোবাসা সবটুকু বিলিয়ে দিয়েছিলেন চরফ্যাশন উপজেলার ওমরপুর ইউনিয়ন ১ং নম্বর ওয়ার্ডের মিজানুর রহমান তৈয়বকে। কিন্তু প্রেমিকের সরকারি চাকরি হওয়ার পর অন্য একজনকে বিয়ে করতে প্রস্তুতি নেন মিজানুর রহমান তৈয়ব।
বিষয়টি জেনে প্রেমিকের বাড়িতে ছুটে এসেছেন প্রেমিকা সাদিয়া জান্নাত। সাদিয়া বলেন, বিয়ে হবে, না হয় এই বাড়িতে হবে আমার কবর।
ইডেন কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করা সাদিয়া অভিযোগ করে বলেন, মিজানুর রহমান তৈয়ব আমার সবকিছু শেষ করে দিয়েছে। সরকারি চাকরি হওয়ায় এখন আর আমাকে বিয়ে করতে চায় না, ফোন রিসিভ করছে না, তাই আমি ১২ এপ্রিল প্রথম অনশন শুরু করি।
স্থানীয় থানা প্রশাসন এবং চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় বৃহস্পতিবার সমঝোতার তারিখ থাকলেও সমঝোতার চেষ্টা ব্যর্থ। তাই দ্বিতীয়বার ওমরপুরে প্রেমিকের বাড়িতে এসে বিয়ের দাবিতে অনশন করছি।
চরফ্যাশন থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নওরিন হক বিষয়টি মীমাংসার জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেযারম্যানকে দায়িত্ব দিয়েছেন। চেযারম্যান সিরাজুল ইসলাম অনশনকারী সাদিয়াকে মিজানের বাবার জিম্মায় রেখেছেন।
মিজানের বাবা মোজাম্মেল হক হাওলাদার জানান, মেয়ে বাড়িতে আসার আগ পর্যন্ত তিনি কিছুই জানতেন না। ছেলে ঢাকায় থাকে। এটি ছেলে-মেয়ের ব্যক্তিগত বিষয়।
আজকের সারাদেশ/ইই/এমএইচ