আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
হাফেজ শাহ আলম নামের এক বয়োবৃদ্ধের জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে বাচ্চু ডাকাতের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনে একটি মামলা হয়েছে।
রবিবার (২১ এপ্রিল) বাঁশখালীর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল হামিদের আদালতে হাফেজ শাহ আলম এ মামলা দায়ের করেন।
এতে বাচ্চু (৩০) নামের এক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
হাফেজ শাহ আলম বাঁশখালীর পুঁইছড়ির মওলার পাড়া এলাকার বাসিন্দা। অপরদিকে আসামী বাচ্চু ডাকাতি ও চাদাবাজীর মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী।
আদালতে বাদীর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট এইচ এম হেলাল উদ্দীন। এছাড়া মামলাটির ড্রাফটিংয়ে ও ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন- ২০২৩ এর ধারা সমূহ ব্যাখ্যায় তাকে সহযোগিতা করেছেন টীম-জাস্টিস ফর হোপলেস এর আইনজীবী রেজাউল করিম, অ্যাডভোকেট শেখ আফরোজা মাহী, অ্যাডভোকেট আয়শা আক্তার ও অ্যাডভোকেট তানভীর হায়দার।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, হাফেজ শাহ আলমের ১৯৯৪ সালে ক্রয়কৃত জমিতে তারই এলাকার ভূমিদস্যু চক্রের সদস্য আসামি বাচ্চুর নজর পড়ে। আসামি গত ৩ এপ্রিল জমিতে কয়েকজন সাঙ্গপাঙ্গসহ হাজির হয়ে নিজেকে উক্ত জমির মালিক বলে দাবি করেন এবং মূল মালিক বাদী হাফেজ শাহ আলমকে সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ করে তা বেদখল করার চেষ্টা করেন। এছাড়া সীমানাপ্রাচীর নির্মাণে বাধা দেন।
অ্যাডভোকেট সায়মন সৈয়দ বলেন, আরেকজনের দখলীয় জায়গায় দখলের উদ্দেশ্যে প্রবেশ করা একটি ফৌজদারী অপরাধ। ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন-২০২৩ এর মাধ্যমে পেশী শক্তির লাগাম টানার চেষ্টা করা হয়েছে। এই আইনে জোর করে দখল প্রতিরোধের বিধান আনা হয়েছে।
আজকের সারাদেশ/এমএইচ