আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের নৃশংস হামলার প্রতিবাদে শুরু হওয়া শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া ও ইয়েল ইউনিভার্সিটির গণ্ডি পেরিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও ছড়িয়ে পড়েছে। ক্রমবর্ধমান এই বিক্ষোভ সামাল দিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্মকর্তারা রীতিমত হিমশিম খাচ্ছেন।
এছাড়া ইয়াহুদিবিদ্বেষ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কায় কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সশরীরে ক্লাস আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার বার্কলেসহ অন্যান্য কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও এ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
যদিও বিক্ষোভ বন্ধ করে ক্যাম্পাসকে শান্ত রাখতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তাদের উপর দিনদিন চাপ বাড়ানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার জের ধরে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ ফের শুরু হয়। এরপর থেকেই যুদ্ধের পক্ষে-বিপক্ষে বিক্ষোভ এবং তর্ক-বিতর্কের চর্চা বাড়তেই থাকে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে।
বিক্ষোভ সামাল দিতে গত সপ্তাহে নিউইয়র্ক সিটি পুলিশকে ক্যাম্পাসে ঢোকার অনুমতি দেয় কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেখানে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের গ্রেফতারের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের আরও কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্বব্যাপী শুরু হয় তীব্র সমালোচনা।
পরিস্থিতি সামাল দিতে গত ২২ এপ্রিল ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভকারী প্রায় ৫০ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয়টির কয়েকশ শিক্ষার্থী গত কয়েক দিন ধরেই ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ চালিয়ে আসছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ক্যাম্পাসকে শান্ত রাখার জন্য বিক্ষোভকারীদের “একাধিকবার অনুরোধ” জানালেও তারা তা উপেক্ষা করে। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই পুলিশকে খবর দেন তারা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরও যেসব বিশ্ববিদ্যোলয়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে: ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান, ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি এবং এমারসন কলেজ।
এমনকি কলম্বিয়ার প্রায় ১২ কিলোমিটার দক্ষিণে নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে অবস্থান নিয়েছেন। সেখানে বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলি অস্ত্র সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো থেকে বিনিয়োগ সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান।
আজকের সারাদেশ/এমএইচ