সকাল ৬:৫১, শনিবার, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চবির হোস্টেলে আটকে রেখে ছাত্রের গায়ে ছাত্রলীগের সিগারেটের ছ্যাঁকা

আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক শিক্ষার্থীকে শহরস্থ চারুকলা ইনস্টিটিউটের হোস্টেলে আটকে রেখে নির্যাতন ও পরীক্ষা দেওয়া থেকে বিরত রাখার অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের বগি ভিত্তিক উপগ্রুপ ভিএক্সের অনুসারীদের বিরুদ্ধে। নির্যাতনের শিকার স্বাগত দাস চারুকলা ইন্সটিটিউটের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগের সিএফসি গ্রুপের অনুসারী।

রোববার (২৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে ভুক্তভোগী স্বাগত দাস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

এ ঘটনায় ৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রক্টর বরাবর চিঠি দেন ভুক্তভোগী স্বাগত দাস। অভিযুক্তরা হলেন, চারুকলা ইন্সটিটিউটের ২০২-২১ সেশনের আলমাস মাহফুজ রাফিদ (মূল যেতা), ফরহাদ হোসেন সুমন, সাগর রয় অনিক ও মেহেদী হাসান। অভিযুক্ত ৪ জনই চারুকলা ইন্সটিটিউটের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী।

অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়, আজ ২৮ এপ্রিল (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ৮ টায় শহরে চারুকলা ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে আমি বাস থেকে নামার পর আলমাস (২০-২১) আমাকে জোরপূর্বক রশিদ চৌধুরী হোস্টেলের ১নং রুমে নিয়ে আটকে রাখে। ওই রুমে চারজন আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং মারধর শুরু করে। পালাক্রমে আলমাস , সুমন মেহেদী, সাগর। সবাই চারুকলা (২০-২১) সেশনের শিক্ষার্থী।

এতে আরোও উল্লেখ করা হয়, আমাকে মারধর শেষে আলমাস হাতে ও গলায় জ্বলন্ত সিগারেট দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে। তারা আমাকে প্রায় দুই ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন করে এবং আমার বর্ষ ‘ফিগার স্টাডি’ কোর্স-১০৩ পরীক্ষা দিতে দেয় নি। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার পাই, এবং আমার জীবনের নিরাপত্তা চাই।

ভুক্তভোগী স্বাগত দাস বলেন, আমি পরীক্ষা দিতে সকালে শহরে চারুকলা ইন্সটিটিউটে যাই। ইন্সটিটিউটের সামনে বাস থেকে নামার পরে আলমাস ও তার সাথের কয়েকজন মিলে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এবং আমাকে একটি রুমে আটকে রাখে। আমি সেখান থেকে বের হয়ে চলে আসতে চাইলে তারা আমাকে মারধর শুরু করে এবং সিগারেট দিয়ে আমার হাত এবং গলা পুড়িয়ে ফেলে।

ভুক্তভোগী আরোও জানান, পরবর্তীতে তুষার দে (২০-২১) নামের আরেক ভাই এসে আমাকে বাঁচাতে চাইলে উনাকেও তারা মারধর শুরু করে। তাঁকে কেন মারধর করেছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আমাকে কেন মারধর করেছে আমি জানিনা। তাদের সাথে আমার পূর্বের কোন শত্রুতা নেই তবে আমাদের ‘সিএফসি’ ও ‘ভিএক্স’ গ্রুপের মধ্যে ঝামেলার জন্যই হয়তো আমাকে মারধর করেছে। আর আলমাস, উনি আমার ডিপার্ট্মেন্টের সিনিয়র। উনার সাথে আমি একই মেসে থেকেছি। তবুও কেন তারা আমাকে মেরেছে আমি জানিনা।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত মূল হোতা আলমাস মাহফুজ রাফিদকে মোটোফোনে বারংবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি সারা দেননি।

এ বিষয়ে চারুকলা ইন্সটিটিউটের পরিচালক সুফিয়া বেগম বলেন, যখন ঘটনাটি ঘটে তখন আমি মূল ক্যাম্পাসে একটি প্রোগ্রামে ছিলাম। আমি তাকে (ভুক্তভোগী) প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দিতে বলেছি। এরকম কিছু ঘটে থাকলে মূল অপরাধীদের অবশ্যই শাস্তি আওতায় আনতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. অহিদুল আলম বলেন, এটি একটি বিবেক বিবর্জিত কাজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা দিতে না দেওয়ায় একটি ন্যক্কারজনক কাজ। আগামীকাল প্রক্টর অফিসে এ নিয়ে মিটিংয়ে আলোচনা ও তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।

আজকের সারাদেশ/ইই/এমএইচ

সর্বশেষ সংবাদ

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ চবি, রাতের মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ

কত টাকা পেল কোপা ও ইউরো চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা-স্পেন?

ঢাবিতে শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে আহত ১৮২, মেডিকেলেও হামলা

চবিতে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর দফায় দফায় চলছে ছাত্রলীগের হামলা

‘যৌতুক’ হিসেবে হবু জামাইকে বিসিএসের প্রশ্ন দিয়েছিলেন পিএসসি সদস্য

শখের বসে ৩০ বছর ধরে কাচের বাল্ব চিবিয়ে খান রাজশাহীর মুক্তার

নাটোরে ট্রেন থেকে ছিটকে পড়া কয়েক কেজি গাঁজা নিয়ে মানুষের কাড়াকাড়ি

নির্বাচনী সমাবেশে প্রকাশ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে গুলি

স্বঘোষিত মেধাবীরা কি বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগের পার্থক্য বুঝে না: ছাত্রলীগ সভাপতি

আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীলতার চেষ্টা করলে পরিণাম ভালো হবে না: ছাত্রলীগ সেক্রেটারি