আজকের সারাদেশ প্রতিবেদন:
প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর কিনে ফেলেছেন নিজের শৈশবের স্কুল। এরপর তা গুড়িয়ে দিলেন। এমন প্রতিশোধ পরায়ণ কাজ করেছেন তুর্কি অভিনেতা কাগলার আরতুগ্রুল।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া এক পোস্টে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। যেখানে তিনি লিখেছেন, সম্প্রতি তিনি একটি জায়গা কিনে সেখানে থাকা ভবনগুলো ভেঙে দিয়েছেন। আর সেটি ছিল মূলত তার শৈশবের স্মৃতিবিজরিত স্কুলের ভবন।
একই সঙ্গে আরতুগ্রুল পোস্টে উল্লেখ করেছেন, শৈশবে ওই বিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে শিক্ষকদের কাছ থেকে সহ্য করা শারীরিক শাস্তির প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তিনি এমনটা করেছেনে।
তিনি লিখেছেন, আমার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সবসময় আমাকে মারধর করতো, তাই আমি সম্পূর্ণ বিদ্যালয়টি আমার মালিকানায় নিয়েছি এবং ভবনগুলো ভেঙে দিয়েছি। আমি সেই মারধরের ঘটনা আর হতে দেবো না। আমার শৈশবের সেই মানসিক আঘাতের যন্ত্রণা প্রতিনিয়ত বয়ে বেড়াচ্ছি।
আরতুগ্রুলের শৈশবের এই প্রাথমিক বিদ্যালয় কেনা এবং ভেঙে ফেলার দাবি নিয়ে দেশটির নেটিজেনরা ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা করছেন। তার দেয়া ইনস্টাগ্রাম পোস্টের কমেন্টে চলছে পক্ষে-বিপক্ষে লেখালেখি। তবে তার এই দাবির সত্যতা স্থানীয়ভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
ভারতের ও পাকিস্তানের একাধিক গণমাধ্যমে এ বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তবে তুরস্কের স্থানীয় কোনো সংবাদমাধ্যমের বরাতে এ ঘটনার সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
আজকের সারাদেশ/জেএম